চিত্রনায়িকা থেকে লেখক হয়ে ওঠার গল্পে মুখোমুখি সিবা আলী খান বিনোদন /  সাক্ষাৎকার / 
বাংলাদেশের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে আলোচনায় আসেন চিত্রনায়িকা সিবা আলী খান; যদিও সিনেমাটি এখনও মুক্তির আলো দেখেনি। ২০১২ সালে ‘রাজকুমার’ নাটকের মধ্য দিয়ে অভিনয় জগতে তার পদার্পন। ২০১৫ সালে মুক্তি পায় সিবা আলী খান অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘দ্য স্টোরি অফ সামারা’। তিনি উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করেছেন থাইল্যান্ডের ‘King Mongkut's University Of Technology Thonburi’ থেকে। তবে চিত্রনায়িকার পাশাপাশি নির্মাতা ও লেখক পরিচয়েও নিজেকে বারবার ছাপিয়ে গেছেন তিনি। দেশের পাঠকপ্রিয় ও তথ্যসমৃদ্ধ অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘টাইমটাচ নিউজ ডটকম’ এর আজকের অতিথি চিত্রনায়িকা সিবা আলী খান। চিত্রনায়িকা থেকে লেখক হয়ে ওঠার গল্পে মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে লেখালেখি ছাড়াও তার নির্মিত শর্টফিল্ম, অভিনীত চলচ্চিত্র নিয়ে নানান প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ফয়সাল হাবিব সানি।
টাইমটাচ নিউজ: কেমন আছেন? চলতি বছর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অন্বেষা প্রকাশন থেকে প্রকাশ পেয়েছে আপনার প্রথম উপন্যাস ‘জোছনা ও আঁধারের গল্প’। এছাড়াও গত বছর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশ পেয়েছিল আপনার অতিপ্রাকৃত গল্পগ্রন্থ ‘আত্মা’। বই দুটি প্রকাশের পর পাঠক মহলে কেমন সাড়া পেয়েছেন?
সিবা আলী খান: আলহামদুলিল্লাহ্, ভালো আছি। নতুন লেখক হিসেবে বেশ সাড়া পেয়েছি। ‘জোছনা ও আঁধারের গল্প’ উপন্যাসের জন্য অনেকে প্রশংসা করেছে। ‘আত্মা’ গল্পগ্রন্থটি অনেক ক্ষুদে পাঠককেও পরিবারের সাথে এসে কিনতে দেখেছি।
টাইমটাচ নিউজ: এই যে চিত্রনায়িকা থেকে লেখক হয়ে উঠলেন, লেখক হয়ে ওঠার জার্নিটা সম্পর্কে আদ্যেপান্ত সংক্ষেপে যদি বলতেন?
সিবা আলী খান: মূলত, আমার পরিচালিত শর্টফিল্মের চিত্রনাট্য লেখার সময় বই লেখার বিষয়টি মাথায় আসে। যেহেতু আমি আগের থেকেই প্রচুর বই পড়তাম, তাই লেখালেখিতে আগ্রহী হবার পর বিষয়টি আমার জন্য খুব কঠিন হয়নি। এভাবেই জার্নিটা শুরু হয়েছিল।
টাইমটাচ নিউজ: চিত্রনায়িকা থেকে লেখক, নির্মাতা দুই মাধ্যমেই স্বীয় মেধায় ও যোগ্যতায় আলো ছড়িয়েছেন এবং প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এই যে সব মাধ্যমেই প্রশংসিত হন, হয়েছেন এবং হচ্ছেন- এ অনুভূতি কেমন?
সিবা আলী খান: খুব ভালো লাগে যখন প্রশংসা পাই। তবে ভালো কাজের দায়িত্বটা দিনদিন বেড়ে যায়। তখন আরও বেশি ভাবতে হয়, সাবধান হতে হয়।
টাইমটাচ নিউজ: জীবনে যদি চিত্রনায়িকা, লেখক কিংবা নির্মাতা কোনোটাই না হতেন, তাহলে কী হতে চাইতেন?
সিবা আলী খান: আমি ‘ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিষয়ের উপর পড়তে চেয়েছিলাম এবং পড়েছিও। আমি পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইনফরমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) এ। ক্রিয়েটিভ ফিল্ডে কাজ করা না হলে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ফুল টাইম জব করতাম।
টাইমটাচ নিউজ: মিডিয়াঙ্গনের অনেকেই বর্তমানে বই লিখছেন এবং তাদের বইগুলো ফেব্রুয়ারিতে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে। মিডিয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বই লেখার এই যে তীব্র আগ্রহ ও কৌতুহল জন্ম নিচ্ছে, এ বিষয়টাকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
সিবা আলী খান: ভালো লাগে তাদের লেখালেখির প্রতি ইচ্ছা ও আগ্রহ দেখলে। তবে যদি নিয়মিত সাহিত্যচর্চা করেন, তাহলে আরও ভালো লাগবে।
টাইমটাচ নিউজ: অভিনয়, পরিচালনা তো আছেই; আবার লেখালেখিও করছেন। এত কিছুর সাথে লেখালেখি বিষয়টা নিয়ে বাড়তি কোনো চাপ অনুভব করেন কী?
সিবা আলী খান: মাঝেমধ্যে কিছুটা চাপ অনুভব করি। বই লিখতে গেলে অনেক ভাবতে হয়। তবে যতই দিন গড়াচ্ছে, নিজেকে ততই মানিয়ে নিচ্ছি।
টাইমটাচ নিউজ: নতুন কোনো বই লিখছেন কী সামনের বইমেলার জন্য কিংবা যা পরবর্তীতে প্রকাশিত হবে?
সিবা আলী খান: জি, আগামী বছর বইমেলাতে প্রকাশের জন্য একটা উপন্যাস লিখছি।
টাইমটাচ নিউজ: অভিনয় থেকে তো বর্তমানে দূরে রয়েছেন। নতুন কোনো কাজ নিয়ে অভিনয়ে আবার কামব্যাক করছেন কী?
সিবা আলী খান: এ বছরই ‘জামদানি’ সিনেমার কাজ শেষ করেছি। সিনেমাটির সম্পাদনার কাজ প্রায় শেষ। খুব শিগগিরই মুক্তি পাবে। ভালো কোনো প্রজেক্ট পেলে কাজ করব।
টাইমটাচ নিউজ: নির্মাতা হিসেবে বেশ কিছু আলোচিত শর্টফিল্ম নির্মাণ করেছেন এবং পরিপ্রেক্ষিতে বহির্বিশ্বেও সম্মানজনক পুরস্কার জিতেছেন। মোট কয়টি শর্টফিল্ম নির্মাণ করলেন এ পর্যন্ত?
সিবা আলী খান: সর্বমোট পাঁচটি শর্টফিল্ম নির্মাণ করেছি। এখন প্রথমবারের মতো একটা নন ফিকশন ফিচার ফিল্ম নির্মাণ করছি।
টাইমটাচ নিউজ: সবমিলিয়ে আপনার বর্তমানের ব্যস্ততা কী নিয়ে এবং অনগাত আগামীর দিনগুলোতে সিবা আলী খানের থেকে আমরা কী প্রত্যাশা করতে পারি?
সিবা আলী খান: নির্মাণ আর লেখালেখির কাজে নিয়েই এখন ব্যস্ত আছি। ‘Unflourished’ শিরোনামের একটি ফিচার ফিল্মের কাজ করছি। আমি সিনেমাটোগ্রাফির প্রফেশনাল কোর্স করেছিলাম। এবার প্রথমবারের ন্যায় নিজের পরিচালিত ফিল্মের সিনেমাটোগ্রাফি নিজে করছি।
ছবি: সিবা আলী খান (সংগৃহীত)