Opu Hasnat

আজ ২৯ নভেম্বর বুধবার ২০২৩,

এক সপ্তাহে একই থানায় ৭ অপমৃত্যু! কুমিল্লা

এক সপ্তাহে একই থানায় ৭ অপমৃত্যু!

কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩ শিশু, ২ গৃহবধূ ১ কিশোরী এবং ১ যুবকের অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার উপজেলার জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে মিলি আক্তার (২২) নামে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি ঐ গ্রামের নাছির উদ্দিনের মেয়ে এবং নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার সুমনের স্ত্রী। বুধবার তানিয়া আক্তার তানজিনা (২০) নামে এক গৃহবধূ চিরকুট লিখে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি উপজেলার দক্ষিণ শাকতলী গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে এবং পৌর সদরের নাওগোদা গ্রামের সোহাগের স্ত্রী। 

সোমবার রাতে উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের মক্রবপুর গ্রামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। সে মক্রবপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে এবং নাঙ্গলকোট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। পরিবারের দাবি কেউ তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে। একই দিন সকালে উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের অষ্টগ্রামে পানিতে ডুবে স্কুল পড়ুয়া দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। তারা স্থানীয় আটগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। (১১ নভেম্বর) সন্ধায় পৌর সদরের কেন্দ্রা গ্রামে ঝর্ণা আক্তার (১৭) নামে এক কিশোরীকে নিজ ঘরে কুপিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ঝর্ণা ওই গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে। 

এদিকে নাঙ্গলকোট- হাসানপুর রেল স্টেশনের মধ্যবর্তী  স্থান  মাঝিপাড়া গ্রাম থেকে নুরুন্নবী (৩৮) নামে এক সিএনজি চালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত নুরুন্নবী নাঙ্গলকোট পৌরসভার খান্নাপাড়া গ্রামের মৃত তিতা মিয়ার ছেলে। তার পরিবারেরও অভিযোগ, রাতে অন্য কোথাও নুরুন্নবীকে হত্যা করে পরিকল্পিতভাবে রেললাইনের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে।

এসব ঘটনায় পৃথক মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঝর্ণা হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তার ভাবি কলি আক্তারকে পুলিশ আটক করেছে।

এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম সিকদার বলেন, এ সব ঘটনা পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছেন।