সৈয়দপুরে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পৌরসভা ঘেরাও নীলফামারী / 
পৌরসভার জরাজীর্ণ রাস্তা সংষ্কারের দাবিতে এবং অটোরিকশা আটকের প্রতিবাদে পৌরসভা ঘেরাও করেন মালিক ও চালকরা। এসময় বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মানববন্ধনও করেছে তারা। বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে এই কর্মসূচী পালন করা হয়। এতে শহরের তামান্না সিনেমা হল মোড় থেকে ঢেলাপীরগামী সকল অটোরিকশা নিয়ে এসে এতে অংশ গ্রহণ করে।
পৌরসভা চত্বরে অনুষ্ঠিত কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা ইজিবাইক মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি হাজী আসলাম। তাঁর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, অটোচালক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, চালক জাবেদ আলম, ফরহাদ হোসেন ও আরমান আলী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সৈয়দপুর শহরের ৮০ ভাগ সড়কেরই জরাজীর্ণ অবস্থা। বিশেষ করে প্রধান সড়কগুলো বেহাল। তামান্না মোড় থেকে ওয়াপদা মোড় পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়ক একেবারেই চলাচল অযোগ্য। প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। ভাঙ্গছে যানবাহন, নষ্ট হচ্ছে মালামাল এবং আহত হচ্ছে লোকজন। তারা বলেন, দীর্ঘ ৫ বছর যাবত অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছ সৈয়দপুরবাসী। পৌরসভা জন ভোগান্তি লাঘবে কোন ব্যবস্থায়ই নিচ্ছেনা। মাঝে আন্দোলন করায় ২৮ লাখ টাকা খরচ দেখিয়ে লোক দেখানো থুক পালিশ করে জনগণের টাকা তসরুপ করা হয়েছে। এক মাসও টেকেনি ওই জোড়াতালির সংষ্কার। আবার বর্ষার সময় মাটি ও রাবিস দিয়ে রাস্তার বড় বড় গর্ত ভরাট করায় কাদাপানিতে একাকার হয়ে তা আরও কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে পৌর নির্বাহী শহিদুল ইসলাম আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, তামান্না মোড় থেকে ওয়াপদা মোড় পর্যন্ত রাস্তা সংষ্কারের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব বিশ্ব ব্যাংকে অনুমোদনের অপেক্ষায়। দুই তিন মাসের মধ্যেই বাজেট পেলেই কাজ শুরু করা হবে। এই কথায় অটো চালক মালিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহীন হোসেন বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে মেইনটেনেন্স করে আপাতত রাস্তা চলাচল যোগ্য করা হবে। এর আগে কোন ট্যাক্স বা লাইসেন্স বাবদ টাকা নেয়া হবেনা। তাঁর আশ্বাসের পর আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি স্থগিত করে।