শান্ত হত্যা মামলা : সাক্ষীই হত্যাকারী কুমিল্লা / 
কুমিল্লার দেবিদ্বারের আলোচিত শান্ত হত্যা মামলার ৫নং সাক্ষী ছিলেন সাজিব। সেই সাক্ষী সাজিবই চাকু দিয়ে হত্যা করে শান্তকে। হত্যা করে সাক্ষী বনে যাওয়া ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে কুমিল্লা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে শান্ত হত্যাকান্ডে সাজিবের সম্পৃক্ততার প্রমাণ। সাজিব চাকু দিয়ে শান্তকে তলপেটে আঘাত করে। আর সেই আঘাতেই নিহত হোন মেহেদী হাসান শান্ত।
পিআইবি সূত্র জানায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেবিদ্বারে নুরপুরে গত বছরের ঈদুল আযহার আগের দিন আসামি সাজিব ও আল আমিনের মাঝে তর্কাতর্কি হয়। তাদের হট্টগোল শুনে সেখানে আরো উৎসুক জনতার ভিড় হয়। এক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক অভিযুক্ত সাজিব তার পকেটে থাকা চাকু (সুইস গিয়ার) দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। এতে আলআমিনসহ চারজন গুরুতর আহত হয়। এসময় শান্ত সাজিবকে থামাতে পেছন থেকে ধরলে সাজিব শান্তর তলপেটে চাকু দিয়ে আঘাত করে। সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে শান্ত। সাজিব মোটর সাইকেলে পালিয়ে গেলে শান্তকে স্থানীয়রা দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শান্তকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পরির্দশক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, ‘আলোচিত হত্যাকান্ড নিয়ে পিবিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ নিবিড়ভাবে অনুসন্ধান করে। প্রতিটি আলামত ও সাক্ষীর কথা পুঙ্খানু পুঙ্খানু বিশ্লেষণে বেরিয়ে আসে আসল হত্যাকারীর পরিচয়। মামলার চারজন সাক্ষী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য দেন। এতে করে সাজিব কর্তৃক শান্তকে হত্যার বিষয়টি আরো পরিস্কার হয়ে উঠে।
গত বছরের ৯ জুলাই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের নুরপুরে আমেরিকা প্রবাসী সাজিবের চাকুর আঘাতে শান্ত হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত আরো চারজন। নিহত মেহেদী হাসান শান্ত ফতেহাবাদ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের সরকার বাড়ির জাকির হোসেনের ছেলে। অভিযুক্ত সাজিব বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রয়েছেন।