Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

সৈয়দপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ধান মাড়াই কল কৃষি সংবাদনীলফামারী

সৈয়দপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ধান মাড়াই কল

শ্রম, সময় অর্থনৈতিক সাশ্রয়ে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ধান মাড়াই কল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চলতি বোরোর ধান কাটার মৌসুমে ধান মাড়াই কলের মালিকদের দম ফেলার ফুরসত নেই। ফলে এই অঞ্চলের আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে বোরো ধান মাড়াই করে শুকিয়ে নিয়ে গোলায় তুলতে পারছেন কৃষকরা।

উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও আশেপাশের এলাকায় মৌসুমে এই মাড়াই কলের ব্যাপক চাহিদা বেড়ে যায়। শ্রমিকরা ধান কেটে কৃষকের খুলি বা আঙ্গিনায় রেখে তাদের কাজ শেষ করে। আর মাড়াই কলে মুহূর্তে ধান মাড়াই হয়ে যায় এবং ধানের খড় আলাদা স্থানে গিয়ে পড়ে। এভাবে দ্রুত ধান মাড়াই হয়ে যায় কৃষকদের। ফলে কৃষকদের শ্রম, সময় ও অর্থনৈতিক সাশ্রয় হয়। এসব মাড়াইকলের মালিক প্রতিবিঘা জমি (৬০ শতাংশ) মাত্র ৬শ’ টাকায় মাড়াই করে দেন।

প্রতিবছর ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিকদের সঙ্কট দেখা দেয়। কারণ এসময় বেশি লাভের আশায় ধানকাটা শ্রমিকরা বাইরের জেলায় যান। কেউ কেউ ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে মাটি কাটাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন। ফলে শ্রমিকদের চরম সঙ্কট দেখা দেয়। এ অবস্থায় কৃষকরা বেকায়দায় পড়ে শ্রমিকদের বেশি টাকা দিয়ে ধান কেটে এনে ওই মেশিনে মাড়াই করছেন।

এই মাড়াই কল ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিনে ও বিদ্যুতের মটরে চালানো যায়। একজন ধানের গোছাকে মেশিনের ভেতরে ঢুকিয়ে দেন ও অন্যান্যরা ধানের আঁটি মেশিনম্যানের এগিয়ে দেন। এভাবে ধান মাড়াইয়ে সময়, শ্রম ও টাকা লাগে কম। ফলে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। সৈয়দপুর পৌরসভা সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কালবৈশাখীর ঝড়ের আশঙ্কায় কৃষকরা তড়িখড়ি করে ক্ষেতের বোরো ধান শ্রমিকদের দিয়ে কেটে নিচ্ছেন। লাভ- লোকসানের হিসাব না করেই সেই ধান মাড়াই করে নিচ্ছেন মেশিনের সাহায্যে।  

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার অবসরে যাওয়া কর্মচারি ও স্থানীয় লেদ মেশিনে তৈরি এসব মাড়াই কল। বিক্রি হচ্ছে ৫০/৬০ হাজার টাকায়। তবে কিশোরগঞ্জ, বগুড়া ও দিনাজপুর জেলার তৈরি ধান মাড়াইকলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এগুলোর দামও একটু বেশি।  

এই বিভাগের অন্যান্য খবর