Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

সৈয়দপুরে বোরো বীজতলায় শীতের হানা, কৃষকের বীজতলা পলিথিনে মোড়ানো কৃষি সংবাদনীলফামারী

সৈয়দপুরে বোরো বীজতলায় শীতের হানা, কৃষকের বীজতলা পলিথিনে মোড়ানো

ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহের কারণে বোরো বীজতলা নিয়ে শঙ্কিত নীলফামারীর সৈয়দপুরের কৃষকেরা। দুপুর পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকায় ধানের চারাগুলো ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে। কোল্ড ইনজুরিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে এগুলো হলুদ হয়ে পড়ছে। 

বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, বীজতলা কোথাও হলুদ, কোথাও লালচে বর্ণ ধারণ করেছে। অনেক জায়গায় গাছ বিবর্ণ হয়ে মরে যাচ্ছে। ফলে অনেক কৃষক বীজতলা পলিথিনে মুড়িয়ে দিয়েছেন। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত বীজতলা সেরে উঠবে।

সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ির কৃষক করিম উদ্দিন বলেন, কয়েক দিনের তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় অনেক চারার গোড়ায় পচন ধরে শুকিয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে বীজতলায় ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।

উপজেলার বাঙালিপুরেরকৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, এবার অতিরিক্ত শীতে বোরো বীজতলা হুমকির মুখে রয়েছে। তবে কৃষি অফিসের লোকজন বীজতলায় আসছেন এবং তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী পরিচর্যা করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি দপ্তরের সূত্রমতে, এবার নীলফামারীতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষকেরা ৪ হাজার ২৯৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা করেছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা হোমায়ারা মন্ডল জানান, শীতের হাত থেকে বোরো ধানের চারা রক্ষায় বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে বলা হচ্ছে। এ ছাড়া জিপসাম প্রয়োগ ও প্রতিদিন পুরোনো পানি অপসারণ করে নতুন পানি দেওয়াসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। হোমায়ারা মন্ডলের দাবি, কয়েক দিন ধরে কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও বীজতলার তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে শীত ও কুয়াশার তীব্রতা বাড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে।