Opu Hasnat

আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৪,

পাইকগাছা প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন খুলনা

পাইকগাছা প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

খুলনার পাইকগাছায় মিথ্যা তথ্য প্রদান করে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলার পুরাইকাটি গ্রামের পীর আলী সরদারের পুত্র মোঃ আসাদুল সরদার। রবিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টায় পাইকগাছা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, গত ২৮ নভেম্বর পাইকগাছা উপজেলার পুরাইকাটী গ্রামের শাহিনুর রহমানের স্ত্রী সোনালী বেগম সংবাদ সম্মেলনে আমাদের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। 

তিনি প্রকৃত ঘটনাটি আড়াল করে ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে আমি ও আমার পার্টনাররা জনৈক সোনালী বেগমের স্বামী শাহিনুর রহমানের পক্ষে এনএসবি ইটভাটা বেআইনী জবর দখলকারী, ভূমিদস্যু, আত্মসাতের চেষ্টা ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারী যা আদৌও সত্য নয় বরং মানহানিকর। 

কল্পকাহিনী সৃষ্টি করে সংবাদ সম্মেলনে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আসাদুল সরদার প্রকৃত সত্য তুলে ধরে বলেন, বিগত ২০২০ সালের ১৮ মার্চ উপজেলার গদাইপুরের পুরাইকাটি মৌজার এসএ ৬৪ ও ৬৭ খতিয়ানের ৪১১ ও ৪১২ দাগের জনৈক সোনালী বেগমের স্বামী শাহিনুর রহমানের নামীয় ২একর জমি ৮৬৪ ও ৮৬৭ নম্বরের দুটি বায়না পত্রে বিক্রয় চুক্তিতে শাহিনুর রহমান আমি ও আমার পার্টনার শহিদুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, রেবেকা আক্তার, মুনসুর মোড়ল ও আবজালুর রহমানের নিকট হতে ৩২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা গ্রহন করেন। তবে চুক্তি মোতাবেক এক বছরের মধ্যে রেজিষ্ট্রী কোবলা দলিল করে দেওয়ার কথা থাকলে ও শাহিনুর আজ কাল করে বিভিন্ন ভাবে তালবাহনা করে সময় ক্ষেপন করতে থাকালে আমরা কোন উপায়ন্ত না পেয়ে  সোনালী বেগমের স্বামী শাহিনুরের বিরুদ্ধে দেওয়ানী আদালতে ২টি চুক্তি প্রবল মামলা করি। আদালত মাধ্যমে আমরা যার রায় প্রাপ্ত হই এবং এ মামলায় আমাদের বহু টাকা খরচ হয়।পরবর্তীতে শাহিন ২০২০সালের  ১৫জুন ৩শ টাকার নন জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে ইজারা চুক্তিতে আমাদের অনুকুলে দখল দেওয়া উক্ত ২ একর জমির বার্ষিক হারী হিসাবে বছরে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদানে চুক্তি বদ্ধ হয়। অতঃপর শাহিন উক্ত জমিতে ইট ভাটা পরিচালনা করাকালে বিভিন্ন লোকের নিকট তার নিজ নামীয় ব্যাংক চেক, ষ্ট্যাম্প দিয়ে বহু অর্থ হাতিয়ে নিয়ে তাদের সাথে প্রতারণা করে। সে কারণ ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন আদালতে শাহিনের বিরুদ্ধে মামলা করায় ঐসব মামলায় ওয়ারেন্ট ইস্যু হওয়ায় শাহিন ইট ভাটা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যেয়ে আত্মগোপন করে।  ফলে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে এবং বিগত ২০২০-২০২১ সালের হারী বাবদ শাহিনের কাছে ১১ লক্ষ টাকা না পেয়ে  নিরুপায় হয়ে পালিয়ে থাকা শাহিন এবং তার স্ত্রী সোনালি বেগমের কথামত ২০২১-২০২২ সালে উক্ত ভাটাটি আমরা ৬ লক্ষ টাকায় জনৈক বাছির উদ্দীনকে উক্ত জমি ইজারা দিই। পরে শাহিনের স্ত্রী সোনালী বেগম উল্লেখিত বাছির উদ্দীনের বিরুদ্ধে ৫লক্ষ টাকা হারীর দাবীতে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সি,আর ৩২৩/২২ নম্বর একটি মামলা করেন। পরবর্তীতে শাহিনের স্ত্রী সোনালী বেগম বাছির উদ্দীনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে  গত ২৬ অক্টোবর মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন। ফলে  বাছিরের কাছ থেকে নেওয়া টাকা থেকে আমরা ৫ লক্ষ টাকা ফেরৎ দেই। সে কারনে আমি ও আমার পার্টনাররা চুক্তি মোতাবেক শাহিনের কাছে ১০লক্ষ পাইতে হকদার। কিন্তু শাহিন উক্ত টাকা না দিয়ে পালিয়ে থেকে কৌশলে তার স্ত্রী সোনালী বেগম কে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে সহ আমাদের পক্ষীয় মুজিবর রহমান, মিরাজুল ইসলাম, শেখ রুহুল কুদ্দস, সোহরাব আলী ও হাবিবুর রহমান সানা এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ সহ সাংবাদিক সম্মেলন করে আমাদেরকে অযথা হয়রানী করছে। যা প্রতারণা, বিশ্বাস ভঙ্গ ও মানহানীর শামিল। 

এ ব্যপারে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।