ফুটবলার আঁখির বাবাকে হুমকি, দুই পুলিশ সদস্য ক্লোজড সিরাজগঞ্জ / 
সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের নারী ফুটবলার আঁখি খাতুনের বাবাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে শাহজাদপুর থানা পুলিশের এএসআই মামুনুর রশিদ ও কনস্টেবল আবু মুসাকে ক্লোজড করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি তদন্তের জন্য সহকারী পুলিশ সুপারকে (শাহজাদপুর সার্কেল) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে আঁখির বাবাকে হুমকি দেওয়ার ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এর জেরে এএসআই মামুনুর ও কনস্টেবল মুসাকে ক্লোজড করা হয়।
জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের পাড়কোলা গ্রামের আঁখির বাড়িতে এএসআই মামুনুর ও কনস্টেবল মুসা সিভিল পোশাকে আদালতের সমন নিয়ে উপস্থিত হন। এ সময় এএসআই মামুনুর আঁখির বাবা আক্তার হোসেনকে জানায়, দ্বাবারিয়া গ্রামের মৃত মেছের প্রাং এর ছেলে মো. মকরম প্রাং বাদী হয়ে সম্প্রতি সিরাজগঞ্জের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দ্বাবারিয়া মৌজায় জোরপূর্বক জমি দখলের পায়তারার অভিযোগে একটি মামলা করেন। ফলে খুন জখম হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় বিজ্ঞ আদালত উভয়পক্ষকে ওই নালিশি সম্পত্তিতে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখতে বলেছেন। এতে ফুটবলার আঁখিসহ পাঁচজনকে বিবাদী করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত আদালতের নোটিশটি স্বাক্ষর প্রদানপূর্বক গ্রহণের জন্য এএসআই মামুনুর রশিদ আঁখির বাবা আক্তার হোসেনকে অনুরোধ করলে তিনি তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় মামুনুর তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন ও থানায় তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।
ডিফেন্ডার আঁখি অভিযোগ করে বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় শাহজাদপুর থানা থেকে এসআই মামুনুর আমাদের বাড়িতে এসে আমার বাবাকে আদালতের একটি কাগজে সই করতে বলেন। আমার বাবা সেই কাগজে সই করতে রাজি হয়নি। তাই আমার বাবাকে এসআই মামুন থানায় নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেন এবং গালমন্দ করে। পরে বাবা আমাকে ফোনে বিষয়টি জানান। এসআই নাকি বলেছে- আমি বাড়ি যাওয়ার পর থানায় যেতে হবে আমাকে। আসলে এমন এক আনন্দঘন মুহূর্তে এমন সংবাদে আমার মনটা অনেক খারাপ হয়ে যায়।
আঁখির বাবা আক্তার হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার মেয়ে আঁখিকে ওই জমি দিয়েছেন। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে একটি কুচক্রমহল জাল দলিলের মাধ্যমে ওই জমি দখলের পায়তারা করছে। ’
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বিষয়টি জানার পর রাতেই আমি ও শাহজাদপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম আঁখির বাড়িতে ফুলের তোড়া ও মিষ্টি নিয়ে গিয়ে তাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছি। এছাড়া এ ঘটনায় তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছি।