সিরাজগঞ্জে বাশের সাঁকোতে ঝুকি নিয়ে রাস্তা পাড়াপাড় করছেন শিক্ষার্থীরা সিরাজগঞ্জ / 
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়ন চরাঞ্চলের ৫ গ্রামের প্রায় ৪ হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার ১ নম্বর ক্রস বাঁধের উত্তরপাশে একটি ব্রিজের দাবি জানিয়ে আসলেও এখন পর্যন্ত এর কোনো সুফল পাননি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউনিয়নের খলিশাকুড়া, দৌলতপুর, পাঁচিল, দিয়ারপাঁচিল ও বাহ্মন বয়ড়া গ্রামের ৪ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ হচ্ছে ১ নম্বর ক্রস বাঁধের বাঁশের ঝুঁকিপুর্ণ সাঁকো। এ অঞ্চলের মানুষ শুকনো মৌসুমে শত কষ্ট স্বীকার করে চলাচল করলেও বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগের শেষ থাকে না। শুধু দুর্ভোগই নয় এ সময় অনেক ছাত্র-ছাত্রীর স্কুল ও কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তখন এলাকাবাসীর যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায় নৌকা।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল কাদের, শরীফ হোসেন রিপন, শিক্ষার্থী সিয়ামসহ অন্যরা জানান, এই ঘাটে একটি ব্রিজ না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে আমাদের। ১ নম্বর ক্রস বাঁধ এলাকার উত্তরপাশে একটি ব্রিজ নির্মাণ আমাদের প্রাণের দাবি। ব্রিজটি নির্মাণ করার জন্য জনপ্রতিনিধি ও সরকারের কাছে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় শিক্ষক শাহ-আলম বলেন, খোশবাড়ি ইউনিয়নের হাটবয়ড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাটবয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও আজিজিয়া হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসার প্রায় ৩০০ ছাত্র-ছাত্রী প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে। একটি ব্রিজ হলে এই শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন স্কুল ও মাদরাসায় উপস্থিত হতে পারবে। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি হবে না। তাই অতিদ্রুত সরকারের কাছে ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
খোকশাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রাশিদুল হাসান রশিদ মোল্লা বলেন, পাঁচটি গ্রামের হাজারো মানুষ প্রতিদিন এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। এখানে একটি ব্রিজ দরকার। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ জরুরি।
সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাসিম রেজা নুর দিপু বলেন,১ নম্বর ক্রস বাঁধের উত্তরপাশে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চাওয়া হবে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে।
সদর উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ মোল্লা বলেন, খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের ১ নম্বর ক্রস বাঁধের উত্তরপাশে একটি ব্রিজের জন্য দাবি করেছেন এলাকাবাসী। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে অবগত করা হবে। দ্রুত ঐ এলাকা পরিদর্শন করা হবে। বরাদ্দ পেলে সেখানে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।