Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

সাজেদা চৌধুরীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত ফরিদপুর

সাজেদা চৌধুরীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত

জাতীয় সংসদের উপনেতা, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা, সালথা ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন) আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর  প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত। 

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে তার নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার মহেন্দ্র নারায়ণ একাডেমি (এমএন একাডেমি) মাঠে অনুষ্ঠিত এ জানাজায় মানুষের ঢল নামে।

জানাজা পড়ান নগরকান্দা মদিনাতুল উলুম মাদরাসার শিক্ষক ইসমাতুল্লাহ কাসেমী। 
 
জানা যায়, কেন্দ্রীয় নেতা মির্জা আজম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মো. শাহজাহানসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার হাজার হাজার মানুষ জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।

এদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লাশবাহী একটি ভ্যানে করে বেলা ১১টার দিকে তার মরদেহ নগরকান্দায় আনা হয়। এলাকার লোকজন তাদের প্রিয় নেত্রীকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমান।  

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান তিনি। ১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তার বাবার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ ও মা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। তার বাবার বাড়ি ছিল ফরিদপুরের সালথা উপজেলায়। শিক্ষাজীবনে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তার স্বামী রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী গোলাম আকবর চৌধুরী। ব্যক্তি জীবনে তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়ের জননী। সাজেদা চৌধুরীর ছিল এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। তার মৃত্যুতে ফরিদপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কাণ্ডারি। সাজেদা চৌধুরী দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ ছিলেন। গত তিন বছর যাবৎ অসুস্থতার কারণে তিনি রাজনৈতিকভাবে কোনো কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতেন না।  

ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সালথার মানুষের কাছে তিনি ছিলেন এক জনপ্রিয় নেত্রী। তার জনপ্রিয়তা ছিল কিংবদন্তি তুল্য। সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে ফরিদপুরে রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।