Opu Hasnat

আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৪,

এশিয়া কাপ : শূন্য হাতে বিদায় টাইগারদের খেলাধুলা

এশিয়া কাপ : শূন্য হাতে বিদায় টাইগারদের

এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে শূন্য হাতে বিদায় নিতে হলো টাইগারদের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ২ উইকেটের পরাজয়ে সুপার ফোরে ওঠা হলো না বাংলাদেশের। খালি হাতেই দুবাই থেকে দেশে ফিরতে হচ্ছে তাদের।  

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। ১৮৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নেমে লড়াই করতে হয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। আর এই লড়াইয়ে তারাই জিতেছে।  

টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিদায় নেন দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ দলের হয়ে মাঠে নামা সাব্বির রহমান। ৬ বলে ৫ রান করে উইকেট হারান তিনি। শুরুটা দারুণ করলেও শেষ পর্যন্ত টিকতে পারলেন না মিরাজ। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার স্পিনে বোল্ড হন এই ব্যাটার। ২ ছক্কা ও ২ চারে ২৬ বলে ৩৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডার।

ব্যাট করতে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। করুণারত্নের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই ব্যাটার; ৪ রান নিয়ে ফেরেন সাজঘরে। এরপর দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে গড়েন দারুণ এক রেকর্ডও। দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৬০০০ রান ও ৪০০ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন টাইগার অধিনায়ক।

এই রেকর্ড গড়ে অবশ্য বেশিক্ষণ আর থিতু হতে পারেননি সাকিব। মহেশ থিকসানার বল বুঝে উঠতে পারেননি তিনি। বোল্ড হয়ে হারান উইকেট। এর আগে ২২ বলে ৩ চারে খেলেন ২৪ রানের ইনিংস।

ছয়ে নেমে আফিফ হোসাইনের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এই দুই ব্যাটার ৩৭ বলে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। সপ্তদশ ওভারে এসে জুটি ভাঙেন মধুশাঙ্কা। ২২ বলে ২ ছক্কা ও ৪ চারে ৩৯ রান করে বিদায় নেন আফিফ। পরের ওভারেই উইকেট হারান মাহমুদউল্লাহ। ২২ বলে ২৭ রান করেন তিনি।  

শেষদিকে এসে করুনারত্নের শিকার হন শেখ মাহেদি (১)। তবে মোসাদ্দেক হোসেন ও তাসকিন আহমেদের ক্যামিও ইনিংসে ১৮৩ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। ৯ বলে ৪ চারে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। তাসকিন করেন ৬ বলে অপরাজিত ১১ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা:
১৮৪/৮ (১৯.২ ওভারে)
ব্যাটিং: আসিথা ১০* ও থিকশানা ০*।
আউট: ৪৫/১ (নিসানকা ২০), ৪৮/২ (আসালঙ্কা ১), ৬৭/৩ (গুনাথিলাকা ১১), ৭৭/৪ (রাজাপাকসে ২), ১৩১/৫ (কুশাল ৬০), ১৩৯/৬ (হাসারাঙ্গা ২), ১৫৮/৭ (শানাকা ৪৫), ১৭১/৮ (চামিকা ১৬)।
বোলিং: এবাদত ৩/৫১, তাসকিন ২/২৪, মোস্তাফিজ ১/৩২, মাহেদী ১/৩০।

বাংলাদেশ: ১৮৩/৭ (২০ ওভারে)।
ব্যাটিং: মোসাদ্দেক ২৪* ও তাসকিন ১১*।
আউট: ১৯/১ (সাব্বির ৫), ৫৮/২ (মিরাজ ৩৮), ৬৩/৩ (মুশফিক ৪), ৮৭/৪ (সাকিব ২৪), ১৪৪/৫ (আফিফ ৩৯), ১৪৪/৬ (মাহমুদউল্লাহ ২৭), ১৫৯/৭ (মাহেদী ১)।
বোলিং: আসিথা ১/৫১, হাসারাঙ্গা ২/৪১, চামিকা ২/৩২, থিকসানা ১/২৩, মাদুশঙ্ক ১/২৬।