Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

মানিকছড়িতে এক পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ খাগড়াছড়ি

মানিকছড়িতে এক পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মানিকছড়ি উপজেলা যোগ্যছলা ইউনিয়নে সেটলার বাঙালি মো: নূর হোসেন (২২) কর্তৃক ২ সন্তানের জননী এক পাহাড়ি নারীকে (২৭) ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করার অভিযোগ করেছে। শনিবার (৯ জুলাই ২০২২) বেলা আড়াইটায় মানিকছড়ির যোগ্যছলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আচালং পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত মো: নূর হোসেন একই ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের আচালং পাড়ার গোরফান ডাক্তার-এর ছেলে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৯ জুলাই ২০২২) দুপুরে আচালং পাড়ার বাসিন্দা ওই নারী কুয়া থেকে পানি আনতে যান। এ সময় তিনি কুয়ার পাশে ছড়ায় মাছ ধরার জন্য গেলে মো: নূর হোসেন হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এতে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে সেটলার মো: নূর হোসেন ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়ে তাকে লাঠি দিয়ে মাথায় ও হাত দিয়ে সজোরে মুখে আঘাত করলে ওই নারী আহত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে সেখানেও দুর্বৃত্ত মো: নূর হোসেন ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় ওই নারী নূর হোসেনকে ধাক্কা দিয়ে চিৎকার করতে করতে কোন রকম নিজেকে রক্ষা করে বাড়িতে ফিরে ঘটনাটি গ্রামবাসীদের জানান। তার মাথায়, মুখে ও শরীরে বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এলাকাবাসীরা জানান, ঘটনার পর তারা আহত ওই নারীকে প্রথমে মানিকছড়ি হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক মনে করে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এলাকাবাসী আরও জানান, ‘গতকাল আমরা মামলা করতে ভিকটিমসহ মানিকছড়ি থানায় গিয়েছিলাম। থানার ওসি বলেছেন আগে ভিকটিমকে বাঁচাতে হবে। তাকে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করেন তারপর আমি অবশ্যই মামলা গ্রহণ করব’। এ পর্যন্ত ৩ দিন অভিহিত হলেও অভিযুক্ত মো: নূর হোসেনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ভিকটিমের সৃ-নির্দ্দিষ্ট অভিযোগ করার পরও পুলিশ তাকে গ্রেফতারে কোন পদক্ষেপ তৎপরতা দেখা যায়নি।

মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো: শাহানুর আলম ঘটনাটি সত্যতা স্বীকার করেছেন। ভিকটিমকে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ নেওয়ার অনুরোধ করেন। পরে পরিবারের কেউ অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।