ছাতকে প্রলয়ংকারী বন্যার পানিতে ডুবে একসপ্তাহ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সুনামগঞ্জ / 
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভার প্রায় চার লক্ষ মানুষ এক সপ্তাহ ছিল পানি বন্দি। পাহাড়ি ঢলের পানি ও মুশলধারে বৃষ্টির পানিতে উপজেলার রাস্তা ঘাট সেতু কালভার্ট বসত বাড়ি দোকান পাট স্থাপনা সবই ছিল প্রায় ৫ থেকে ৭ ফুট পানির নিচে। গরু মহিষ কুকুর সহ গৃহপালিত পশু উচু স্থান ও খাদ্যাভাবে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্কের সমস্যায় জনজীবন হয়ে পড়ে অতিষ্ঠ।
শহরের তাহির প্লাজার শুক্রিয়া শাড়ি ঘর ও শুক্রিয়া গার্মেন্টসের সত্বাধিকারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল মুকিত জানান, তার দোকানে প্রায় ৫ থেকে ৭ ফুট পানি ছিল দোকানের ডেকোরেশন সহ প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, ইসলামিয়া ক্লথ ষ্টোরের সত্বাধীকারী রিয়াজ মাহমুদের প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শহরের কালি বাড়ি রোডস্থ যমুনা ইলেক্ট্রনিক্সের শো-রুমের সত্বাধিকারী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী একলাছ খান জানান, তার শোরুমের টিভি ফ্রিজ সহ ইলেক্ট্রনিক্সের মালামাল পানিতে ডুবে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার অবস্থা কিছুটা পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে শিশু সহ বয়স্ক ব্যক্তিদের সর্দি কাশিসহ নানা পানি বাহিত রুগ দেখাদেওয়ায় জন জীবন আরো অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।দিন মজুর গন অপ্রতুল ত্রান পেলে ও মধ্যে বিত্ত দের অবস্থা লেজেগোবরে। বার বার বন্যায় সকল শ্রনি পেশার লোকজনের ক্ষতি পুষিয়ে উঠা অত্যান্ত কষ্ট কর হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান জানান, প্রতিদিন সরকারি ত্রান সামগ্রী বিতরণ করলেও মানুষের চাহিদা অনেক বেশি। এছাড়াও প্রতিদিন সরকারি বেসরকারি ও এনজিও দের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।