Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

ফরিদপুর আ'লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন, তৃণমূলের আলোচনায় যারা ফরিদপুর

ফরিদপুর আ'লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন, তৃণমূলের আলোচনায় যারা

দেশের পুরতান যেকটি জেলা তার ভিতর ফরিদপুর একটি। এই জেলাটিতে জন্ম গ্রহন করেচিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর এই কারনে এই জেলাটির রাজনৈতিক ভূমিকা যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস ও ঐতিহ্য। দীর্ঘ সাত বছর পর আগামী ১২ মে অনুষ্ঠিত হবে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক এই সম্মেলন। ইতিমধ্যে নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত হয়ে উঠছেন নানামূখি তৎপরতায়। আর সম্মেলনে পদপ্রত্যাশী নেতৃবৃন্দ ব্যাপক দৌড়ঝাপ চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারে। 

সূত্র বলছে, জেলার শীর্ষ দুটি পদে প্রধানমন্ত্রীর মনোনীতদেরই ঠাই হবে। এজন্য শেষমুহুর্তে এসে তারা প্রধানমন্ত্রীর গুডবুকে নাম লেখাতে উদগ্রীব। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে শোনা যাচ্ছে একডজন পদপ্রত্যাশীর নাম। 

জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও সড়ক ছাড়াও জেলার বিভিন্ন থানা এলাকার মহাসড়কগুলোতেও তাদের নাম ও ছবি সম্বলিত বড় বড় বিলবোর্ড, ফেস্টুন ও তোড়ণ স্থাপন করে জানান দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিনই নতৃুন নতুন পোস্টার লাগছে শহরের আনাচেকানাচে-দেয়ালে। অনেকে পছন্দের নেতাদের নামে এসব লাগিয়ে নিজেদের প্রচারও করছেন। জেলার রাজনৈতিক অঙ্গন ছাড়িয়ে চায়ের আড্ডা কিংবা চলতি পথের আলাপেও উঠে আসছে এ প্রসঙ্গ। তবে অনেক পুরাতন নেতারা বলছেন ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে নয় আমাদের পরিচয় হবে স্বাধীনতার পর জেলার আওয়ামী রাজনীতিতে লড়াই সংগ্রামে ভূমিকার রাখার মধ্যে দিয়ে। 

এ পর্যন্ত তৃণমূলে সভাপতি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্ষিয়ান নেতা বিপুল ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, সহ-সভাপতি শামীম হক, যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার ফারুক হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য ইমামউদ্দিন আহমেদের জেষ্ঠ্য সন্তান সাইফুল আহাদ সেলিম, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ এমন মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া সহ অরো কয়েকজন। 

সাধারণ সম্পাদক পদে শোনা যাচ্ছে বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন, এক নং যুগ্ন সম্পাদক বেগম ঝর্ণা হাসান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা উপপরিষদের সদস্য বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সামসুদ্দিন মোল্লার পুত্র কামরুজ্জামান কাফি, পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, আওয়ামী লীগ নেতা মো. লিয়াকত হোসেন, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অনিমেষ রায় এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদ। 

তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, বিপুল ঘোষ স্কুলজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতিতে আসা। বিপুল ঘোষ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে আন্দোলন পরিচালনার কারণে অনার্সের ফাইনাল পরীক্ষার আটদিন আগে জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি হিসেবে গ্রেফতার হয়ে একনাগাড়ে চারবছর কারাবন্দি ছিলেন। ৬ দফা আন্দোলনসহ ১১ দফা, আগড়তলা ষড়যন্ত্রবিরোধী আন্দোলন, ৭০ এর নির্বাচন ও স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। পচাত্তরবিরোধী সামরিক শাসনকালে দীর্ঘদিন তিনি নির্যাতনের শিকার হন। ১৭ বার গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন। বঙ্গবন্ধুর খুনি ফরিদপুরে ফ্রিডম পার্টির সভা করতে এলে কর্ণেল ফারুককে প্রতিহতে তিনি সাহসী ভূমিকা রাখেন। এরআগে তিনি দীর্ঘ একযুগ সফল ভাবে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবারের সম্মেলনে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। দল ক্ষমতায় আসার পর থেকে ১৩ বছর তাকে নিস্কৃয় করে রাখে একটি গোষ্ঠি। এবার নেত্রী সাংগঠনিক ভাবে পরীক্ষিত এই নেতাকে মূল্যায়ন করবেন এমনটাই মনে করছে জেলার তৃনমূলের নেতাকর্মিরা। 

অন্যদিকে, বর্তমান সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা জেলার সভাপতি পদ ছাড়াও তিনি ফরিদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফরিদপুর আইন ল’ কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। মোশাররফ এর অনুসারী তার বাড়িতে একাধিকবার হামলা চালায়। ফরিদপুরে আওয়ামী লীগকে শুদ্ধ করতে তার অবদানও আলোচনায় রয়েছে।               

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামীম হক আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সভাপতি। এবারের সম্মেলন আয়োজনে অর্থ কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

যুবলীগের সদ্যবিদায়ী কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক হোসেন ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয়। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এবং একাধিকবার। জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দ্বায়িত্ব পালনের পর কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও সফলতা দেখিয়েছেন। এলাকায় তারও শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তি রয়েছে।

বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এম মোশাররফ হোসেন তার জীবনে রাজনৈতিক ভাবে ৪৫ বছর ধরে  সক্রিয় রয়েছেন আওয়ামী লীগেরর সঙ্গে। ৭৪ সালের বোয়ালমারী ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে সক্রিয় হন তিনি। তার পিতা ছিলেন এ উপজেলার সদরের ৩০ বছরের চেয়ারম্যান। তার পরিবারের সদস্য রয়েছেন বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও বোয়ালমারী পৌর মেয়র। জেলায় রাজনীতিক হিসাবে তিনি পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত রয়েছেন। দলের জন্য যেকোনো প্রশ্নের নিবেদন থেকেছেন তিনি ও তার পরিবার। 
 
একজন কিশোর বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতিতে যোগদানকারী হয়ে ধাপে ধাপে উঠে এসেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন। দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশে তিনি অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েও নৌকার প্রার্থী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের জন্য মাঠেপ্রান্তরে কাজ করেছেন। আবার বিএনপির এজেন্ট হয়ে দলে অনুপ্রবেশকারী বাবরের অপকর্ম ও সংগঠনবিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে যেয়ে দলের পদে থেকেও নিগৃহিত ছিলেন। তার নামটি রয়েছে আলোচনায়।

ফরিদপুরের শ্রমিক রাজনীতির সংশপ্তক হিসেবে পরিচিত মরহুম হাসিবুল হাসান লাবলুর সহধর্মিনী বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক ঝর্ণা হাসানের নাম শোনা যাচ্ছে এবারের সাধারণ সম্পাদক পদে। গৃহবধু থেকে স্বামীর মৃত্যুর পর রাজনীতিতে নেমে সফলতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন তিনি। জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে কাজ করছেন গণমানুষের জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে জীবনের বাকি সময় থাকতে চান রাজনীতির মাঠেই। এজন্য কাজ করে চলেছেন। 

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কান্ডারী, সাবেক সংসদ সদস্য ও সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম মরহুম অ্যাডভোকেট সামসুদ্দিন মোল্যার সন্তান কামরুজ্জামান কাফিকে এবার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পেতে চাইছেন অনেকে। কামরুজ্জামান কাফি বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা উপকমিটির সদস্য। এর আগে তিনি যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। পারিবারীকভাবেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত কাফি দীর্ঘদিনযাবত ফরিদপুরে সাংগঠনিক তৎপরতা চালাচ্ছেন। 

ফরিদপুর পৌর মেয়র অমিতাভ বোসও রয়েছেন আলোচনা সমালোচনায়। থানা পর্যায় হতে রাজনীতি করে আসা অমিতাভ বোস অমিতাভ বোস জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন। সর্বশেষ ফরিদপুর  পৌর মেয়র পদে তিনি নৌকার প্রার্থী হিসেবে মেয়র হন।

ফরিদপুরে একজন নির্বিবাদ রাজনীতিবীদ হিসেবে পরিচিত মো. লিয়াকত হোসেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছাড়াও ছিলেন জেলা যুবলীগ ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। বর্তমানে ফরিদপুর পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তিনি। 

ছাত্রলীগের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগের কালচারাল উইংয়ের সাথে নিবিষ্টভাবে জড়িয়ে ফরিদপুরের রাজনীতিতে একটি পরিচিত মুখ শওকত আলী জাহিদ। রাজনীতিকে ধারণ করা এই নেতাকেও সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চান সমর্থকেরা।

তৃণমূলের দ্বায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের এই সম্মেলনের মাধ্যমেই দলের নেতৃত্ব নির্ধারিত হবে। তবে এক্ষেত্রে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই শেষ কথা। আগামী বছর আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল ও জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলের এ সম্মেলন আয়োজন করা হচ্ছে। মূল লক্ষ্য দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখা। এজন্য তৃণমূলে সময় দেন এবং দল পরিচালনায় সাংগঠনিকভাবে অভিজ্ঞরাই দলীয় সভানেত্রীর মনোনীত হবেন এব্যাপারে কারোরই দ্বীমত নেই। তারা এর জন্য দীর্ঘদিনের লড়াই সংগ্রামে ভূমিকা রাখা তৃনমূলের পরীক্ষিত নেতাদের মধ্যে থেকে নেতা নির্বাচনের জোর দাবি করেছেন। 

এবারের সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য বর্ষিয়ান নেতা বিপুল ঘোষ বলেন, সম্মেলনকে ঘিরে ফরিদপুর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিদের মধ্যে প্রান ফিরে এসেছে। সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্নর দিকে। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে আমার দল ক্ষমতায় আসার পর ক্ষমতা প্রয়োগ করে আমাকে দলীয় কর্মকান্ড থেকে সড়িয়ে দেয়া হয়। এক প্রকার ঘর বন্দি অবস্থায় চলে আমার জীবন। দলের জন্য দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের উপর কাজ করেছি। আশা করছি শেষ বয়সে আমার নেত্রী আমাকে মূল্যায়ন করবে। তিনি বলেন, যারা সুবিধা নিয়ে পদ সহ নানা ভাবে লাভবান তারা মিথ্যা প্রচারনায় ব্যস্ত এনিয়ে আমার কোন কথা নেই। ১৭ বারের জেল জীবনের বেশির ভাগ যৌবন কাল কেটেছে জেলে। আশা করি এবারের সম্মেলনে নেত্রী ত্যাগী পরীক্ষিতদের মূল্যায়ন করবে। 

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেন, নেত্রীর প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে বিশ্বাস করি স্বাধীনতার স্বপক্ষের দীর্ঘ সময় ধরে যারা রাজনৈতিক শক্তি রয়েছে তাদের মধ্য থেকেই এবং পরীক্ষিত লড়াই সংগ্রামে রাখাদের দিয়েই নেতা নির্বাচন করবেন নেত্রী। 

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সম্মেলন শেষ করতে চাই। দলের প্রতি তারা দীর্ঘ সময় আনুগত্য তাদেরকে দিয়েই আগামীদিনের কমিটি হবে এমনটিই প্রত্যাশা করি। এমন লোক নিবেন যারা রুবেল - বরকতের মতো আচরণ করবে না। আগামী দিনের নেতৃত্বে যেই আসুক আমরা প্রত্যাশা করি না তিনি চাঁদাবাজ হবেন না ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না এমন লোক আমরা চাই না। দীর্ঘ দিনের লড়াই সংগ্রামে ভূমিকা থাকা নেতাদের মধ্যে থেকে নেতা নির্বাচন করা হলে দল গতিশীল হয়।   

এবারের সম্মেলনে জেলার আওয়ামী তৃনমূলের আস্থা পূরণ হবে, নাকি চোরাগোলির লবিং দিয়ে আবারও হাইব্রীড বা ভোগিরা ফরিদপুরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করবে সেটা দেখার জন্য আগামী ১২ তারিখের সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা ফরিদপুরবাসী। এজন্য তারা তাকিয়ে আসেন দলের একমাত্র আশা ভরসার স্থল নেত্রীর আস্থার উপর এমনটাই জানিয়েছেন তারা। 

উল্লেখ্য, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ২২ র্মাচ। ওই সম্মেলনে তৎকালীন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন। এর এক বছর পর ৭১ সদস্য নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়। যে কমিটির কিছু সদস্য নিয়ে অনেক বির্তক ছিলো সে সময়।