Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

নারীর টানে ছুটছে লাখো মানুষ : নৌপথে ভোগান্তি, সড়কে বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ রাজবাড়ী

নারীর টানে ছুটছে লাখো মানুষ : নৌপথে ভোগান্তি, সড়কে বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ

প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নারীর টানে কর্মস্থল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটছে মানুষ। সড়কে বাড়তি ভাড়া নৌপথে ঘন্টার পর ঘন্টা জানজটে আটকে থেকে ভোগান্তি নিয়েই বাড়ি ফিরছে মানুষ। সড়কে, ফেরিঘাটে বা লঞ্চঘাটে প্রশাসনের নজরদারি ছিলো না খুব একটা। অভিযোগ করেছেন যাত্রি ও চালকেরা।

শনিবার (৩০ এপ্রিল) ভোর থেকেই  দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ঢল নামে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চঘাটে। লঞ্চ-ফেরিতে পদ্মা নদী পারি দিয়ে তারা দৌলতদিয়া ঘাটে এসে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিচ্ছেন।

এদিকে রাজধানী মুখী যাত্রীর সংখ্যা কম থাকলেও যানবাহনের সংখ্যা কম নয়। তাই অনেকটা যাত্রী শুন্য এ সকল যানবাহনের দীর্ঘ্য সারি তৈরি হয়েছে।   

সরেজমিন শনিবার বিকেলে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে দেখাযায়, যাত্রীরা ফেরিঘাট থেকে পায়ে হেঁটে বাস টার্মিনালে আসছে। টার্মিনালে থাকা ঈদ উপলক্ষে দেয়া অস্থায়ী কাউন্টার থেকে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে  টিকিট নিয়ে যানবাহনে উঠছেন যাত্রীরা। পূর্বে যে ভাড়া ছিলে ২০০ টাকা সেখানে যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে  ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত। আর অন্য সময় যে ভারা ছিলো ৪০ টাকা যাত্রীদের কাজ থেকে আদায় করা হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। এছাড়া মাহিদ্র, অটোরিকশা চালকেরা তাদের খেয়াল খুশিমত যাত্রীদের কাজ থেকে ভাড়া হাকাচ্ছে।

এ সময় ঢাকা থেকে আসা ফরিদপুরগামী যাত্রি কহিনুর বেগম বলেন, গাবতলি থেকে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত দেড়’শ টাকার ভারা তিনশত আর ঘাট পার হয়ে এখন লোকাল বাসে ফরিদপুর যাচ্ছি ৭০ টাকার ভারা দিতে হবে ১৫০ টাকা। তার উপর প্রচন্ড গরম আবার বাসে ছিট সংখ্যা কম থাকায় দারিয়েও যেতে হচ্ছে অনেককেই।

দৌলতদিয়া ঘাট থেকে রাজবাড়ী আসা যাত্রী পঙ্কচ কুমার জানান, স্বাভাবিক সময় মাহেন্দ্র করে রাজবাড়ী গেলে ভারা দিতে হতো মাত্র ৪০ টাকা এখন ১২০ টাকা। দ্রব্য মূল্যের এই বাজারে ভোগান্তি ছারা আর কিছু নেই কপালে, তারপরও যেতে হবে।

এদিকে, পাটুরিয়া ঘাট  থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতে রয়েছে ব্যাক্তিগত গাড়ি ও মোটর সাইকেলের উপচে পরা ভীর। এতে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট হতে ঢাকা খুলনা মহাসড়কে গোয়ালন্দ পদ্মার মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার জুরে পরিবহনের দীর্ঘ্য সারি তৈরি হয়েছে। যাত্রিশুন্য এ সকল বাসগুলো যেতে না পারায় আরো ভোগান্তি বাড়বে বলে মনে করছে ঘাট সংশ্লিষ্টরা।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যাবস্থাপক (বানিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান জানান, ঈদ উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২ টি ফেরি বাড়িয়ে মোট ২১ টি ফেরি চলাচল করানো হচ্ছে। তবে বেশি লোড নিতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই দু একটি ফেরি বিকল হচ্ছে। আমরা আবার সেই ফেরিগুলোকে দ্রুত মেরামত করে বহরে যুক্ত করছি।

তিনি আরো বলেন, ফেরিতে প্রচুর পরিমানে যাত্রি পার করানো হচ্ছে। যাত্রি চাপ সামাল দিতে ছোট যানবাহনগুলো ফেরিতে উঠতে আবার নামতে বেশি সময় লাগছে। যে কারনে নদীর দুই প্রান্তেই জানজট লেগে যাচ্ছে। তবে সবার আন্তরিকতায় ঈদযাত্রাকে সফল করতে চেষ্টা করা হচ্ছে।