Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

সৈয়দপুরে কনকনে ঠান্ডায় বোরো বীজতলা হুমকির মুখে কৃষি সংবাদনীলফামারী

সৈয়দপুরে কনকনে ঠান্ডায় বোরো বীজতলা হুমকির মুখে

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় দ্বিতীয় দফায় শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার এবং কনকনে ঠান্ডার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে  প্রায় ৫০ ভাগ বোরো বীজতলা। হলুদ বা বিবর্ণ রং ধারণ করে মরে যাচ্ছে চারা। নষ্ট বীজতলা নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সৈয়দপুরের কৃষকগণ । অপরদিকে শীত থেকে বীজতলা রক্ষায় সন্ধ্যার আগেই পলেথিন দিয়ে ঢেঁকে দেয়া হচ্ছে বীজতলা। আর সূর্যের আলো দেখা মিললেই তা তুলে নেয়া হচ্ছে।

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র হতে জানা যায়, বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় বোরো চারা  তৈরিতে ৪শ ২২ হেক্টর জমিতে বীজ বপন করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার কামারপুকুর, কাশিরাম বেলপুকুর, খাতামধুপুর, বোতলাগাড়ী ও বাঙালিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন বীজতলার চার ভাগের এক ভাগ হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। কৃষকগণের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েকদিনে ঘন কুয়াশা ও অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে এমনটি হয়েছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন এখানকার কৃষকগণ।

অনেকের বীজতলা প্রায় পুরোপুরি নষ্টের দিকে। কিছু কিছু কৃষক কোল্ড ইনজুরি কারণে আবারও নতুন করে বীজ বপনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এতে  তারা আর্থিক  ক্ষতিতে পড়বেন বলে জানান বাঙলিপুর ইউনিয়নের পাটোয়ারীপাড়া এলাকার কৃষক আনোয়ার হোসেন।

ভুক্তভোগী কৃষকগণ জানান, গত মৌসুমে ধানের দাম না পেলেও অতিরিক্ত দাম দিয়ে সার বীজ সংগ্রহ করেছেন । এরপর কুয়াশা আর ঠান্ডা তাদের নতুন করে বিপদের মুখে ফেলেছে।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস সূত্র হতে জানা যায়, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে উপজেলার তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে-কমতে ১৫ থেকে ১১ ডিগ্রীতে এসে ঠেকে।

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহিনা বেগম জানান, ইতোমধ্যে আমরা উঠান বৈঠক করে কৃষকদের কোল্ড ইনজুরি থেকে চারা রক্ষার পরামর্শ দিয়েছি। বিশেষ করে পলেথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখা, সকালে টিউবওযেলের পানি ছিটানো, আবার বেশি বীবর্ণ হলে ছাই ছিটানো, শতক প্রতি ২৮০ গ্রাম ইউরিয়া অথবা ৪০০ গ্রাম জীবসাম জমিতে প্রয়োগ করা অত্যাবশ্যক বলে জানান তিনি।তিনি আরও বলেন, ইরি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় ৭ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩২ হাজার মেট্রিক টন ধান।