Opu Hasnat

আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৪,

নদী গর্ভে বিলিন অন্তত দেড় শত মিটার স্থায়ী পাইলিং

রাজবাড়ীর পদ্মায় চলছে ভয়াবহ ভাঙ্গন রাজবাড়ী

রাজবাড়ীর পদ্মায় চলছে ভয়াবহ ভাঙ্গন

ফের ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে রাজবাড়ীর পদ্মায়। মুহুর্তের মধ্যে নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে অন্তত দেড় শত মিটার শহর রক্ষা বাধের স্থায়ী পাইলিং। সরিয়ে নিতে হয়েছে অন্তত ১৫ টি বসতবাড়ি। এখন মারাত্বক ঝুকিতে পরেছে রাজবাড়ী শহররক্ষা বাধ। ভাঙ্গন ঝুকিতে, শত শত বসতবাড়ি, মসজিদ, বিদ্যালয়সহ বহু স্থাপনা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখাযায়, মঙ্গলবার সকাল ৯ টার সময় হঠাৎই ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দেয় রাজবাড়ী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোদার বাজার এলাকায়। মুহুর্তেই নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে স্থায়ী পাইলিং এর সিসি ব্লক। আর শহর রক্ষা বাধ ঘেষে থাকা বসতবাড়িগুলো ভেঙ্গে অন্য স্থানে সরাতে ব্যাস্ত বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকালেই সরিয়ে নিতে হয়েছে ১৫ টি বসতবাড়ি।

গোদার বাজার এলাকার বাসিন্দা সবুজ আহম্মেদ বলেন, গত জুন মাসে ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যায়ে রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাধের স্থায়ী পাইলিং এর কাজ শেষ হয়। কাজ শেষ হওয়ার একমাস পর থেকে ৬ দফার ভাঙ্গনে নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে ১ হাজার মিটারেরও বেশি এলাকা। সরিয়ে নিতে হয়েছে আরো অন্তত ২ শত বসতবাড়ি। তাই দাবী উঠেছে কাজের মান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারকি নিয়ে।

অপর বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম বলেন, রাজবাড়ী শহরকে রক্ষা করার জন্য শতশত কোটি টাকা ব্যায়ে যে কাজ হয়েছে তার কোন তদারকি ও কাজের মান ভালো না হওয়ায় আজকের এই ভাঙ্গন। দুর্নীতিবাজরা লাভবান হয়েছে আর ক্ষতি হচ্ছে আমাদের। এখন শহররক্ষা বাধের উপর আশ্রয় নিতে হবে। আর বাধ ভেঙ্গে গেলে পানি ঢুকে পরবে শহরে। তখন বুঝবে শহরের বড় বড় অট্টালিকায় থাকা বড় বড় মানুষেরা।

গোদার বাজার এলাকার বাসিন্দা হাচিনা পারভীন বলেন, ভাঙ্গনের তীব্রতা এতই বেশি যে আতঙ্কিত না হয়ে উপায় নেই। বসতভিটা পরিবার পরিজন নিয়ে মারাত্বক চিন্তায় আছি। এখন যাওয়ার মতো আর কোন জায়গা নেই। সরকার যদি এখনই ব্যাবস্থা গ্রহন না করে তবে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে রাজবাড়ীবাসির জন্য।

ভাঙ্গন ঝুকিতে থাকা গোদার বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোকসেদুল মোমিন বলেন, যেভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে এখনই ব্যাবস্থা গ্রহন না করলে গোদার বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোদার বাজার জামে মসজিদ, গোদার বাজার মাদ্রাসাসহ শত শত বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রাজবাড়ীর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আহাদ বলেন, আমরা তিনবার সার্ভে করেছি। তিনবারই দেখেছি নদীর পদ্মার গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। হঠাৎ করে ভাঙ্গন যে আকার ধারন করেছে তাতে মনে হচ্ছে জিও ব্যাগে এই ভাঙ্গন রক্ষা করা সম্ভব নয়। ফেলতে হবে জিও টিউব। জিও টিউব ফেলার জন্য পর্যাপ্ত মেশিন ও শ্রমিক প্রয়োজন আশা করা যাচ্ছে মঙ্গলবার বিকেল থেকে ভাঙ্গনরোধে কাজ শুরু হবে।