Opu Hasnat

আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৪,

সৈয়দপুরে তৈরি হচ্ছে ভেজাল ও নকল কয়েল, ছড়াচ্ছে বিষ নীলফামারী

সৈয়দপুরে তৈরি হচ্ছে ভেজাল ও নকল কয়েল, ছড়াচ্ছে বিষ

নীলফামারীর সৈয়দপুরে তৈরি হচ্ছে নিম্নমানের ভেজাল মশার কয়েল। এছাড়া বাজারে বিক্রি হচ্ছে উচ্চমাত্রার ক্ষতিকারক চায়না কয়েল। অনুমোদনহীঅন এসব কয়েলের ধোঁয়া পরিবেশে ছড়াচ্ছে বিষ। এতে শিশুসহ সব বয়সী মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, একশ্রেণির অসাধু ও মুনাফালোভী ব্যবসায়ী এ অবৈধ মশার কয়েল উৎপাদন ও বাজারজাতে জড়িত। স্থানীয় বাজারে এসব কয়েল সয়লাব হলেও সংশ্লিষ্টদের কোনো নিয়ন্ত্রন নেই। তবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দীন জানিয়েছেন, শিগগিরই অনুমোদনহীন কয়েল কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া বিক্রেতার বিরুদ্ধেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।

শহরের গোলাহাট, মিস্ত্রিপাড়া, ইসলামবাগ, টার্মিনাল, কাজীরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫০/৬০টি মশার কয়েল তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাসাবাড়ি ভাড়া নিয়ে এসব কারখানায় ক্ষতিকর মশার কয়েল উৎপাদন করা হয়। এসব কারখানায় নামীদামি ব্র্যান্ডের মশার কয়েলও তৈরি হয়। ভুয়া পিএইচপি নম্বর ও বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করে আকর্ষণীয় মোড়কে এসব কয়েল বাজারে ছাড়া হচ্ছে, যা কিনে মানুষ প্রতারিত হচ্ছে।

সরজমিনে দেখা যায়, বিএসটিআইয়ের অনুমতি তালিকার বাইরে বাজারে সেভেন ভোষ্টার, সুপার ডিসকভারী, প্যাগোডা, গোল্ড, তুলসীপাতা, সেফগার্ড, লিজার্ড মেগা, বস সুপার, ম্যাজিক, সোলবি, মাছরাঙা, মেঘা, বাংলা কিলার, হান্টার, বিচ্চু, চমক, সুপার যাদু, রকেট ইত্যাদি ব্র্যান্ডের কয়েল অবাধে বিক্রি হচ্ছে। এসব কয়েলের গায়ে ঢাকা, ভৈরব কিংবা চট্টগ্রাম লেখা থাকলেও পূর্ণাঙ্গ কোনো ঠিকানা নেই।

এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু মো. আলেমুল বাসার বলেন, অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট বা কেমিক্যাল ব্যবহারের ফলে ক্যানসার, শ্বাসনালীতে প্রদাহসহ বিকলাঙ্গের মতো ভয়ানক রোগ হতে পারে। এমনকি গর্ভের শিশুও এতে ক্ষতির শিকার হতে পারে। এসব কয়েলের বিষাক্ত উপাদান মানুষের শরীরে দীর্ঘমেয়াদী জটিল রোগের বাসা তৈরি করছে।

 

এই বিভাগের অন্যান্য খবর