Opu Hasnat

আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৪,

দামুড়হুদায় ভৈাজ্যতেল পেরিলা ফসলের পরীক্ষা মূলক চাষ শুরু কৃষি সংবাদচুয়াডাঙ্গা

দামুড়হুদায় ভৈাজ্যতেল পেরিলা ফসলের পরীক্ষা মূলক চাষ শুরু

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় উচ্চ ফলনশীল ও পুষ্টিসমৃদ্ধ ভৈাজ্যতেল জাতীয় ফসল পেরিলা পরীক্ষা মূলক চাষ শুরু হয়েছে। এ্ই চাষে সফল হলে একই জমিতে চারটি ফসল ফলানো সম্ভব হবে। দামুড়হুদার লোকনাথপুর, দর্শনা, মদনা ও কার্পাসডাঙ্গায় প্রাথমিক ভাবে কয়েক জন কৃষক পেরিলা বাউ-১ জাতের চাষ শুরু করেছেন।

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইয়াছির আরাফাত লিমন, বলেন, কোরিয়া, জাপান, ভিয়েতনাম, ভারত ও থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে পেরিলা চাষ হয়ে থাকে। আমাদের দেশের বিভিন্ন এলাকার পরীক্ষা মুলক ভাবে চাষ শুরু হয়েছে। আমাদের অঞ্চলের মাটি এই চাষের জন্য উপয়োগী। এর তেলের দাম ভালো ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে। ফলন ও ভালো বিঘাপ্রতি ৮/৯মণ ফলন হয়ে থাকে। আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে উপজেলায় পরীক্ষামূলক ভাবে এই চাষ শুরু করা হয়েছে। আমাদের অঞ্চলে কিছু কিছু কৃষি জমিতে সাধারনত তিন টি ফসলের চাষ হয়ে থাকে তিনটি ফসলের মাঝে তিন মাস জমিগুলো পতিত থাকে। পেরিলা সাধারনত উচু রেলে দোঁয়াশ জমিতে চাষ ভালো হয়ে থাকে। পেরিলা জুন- জুলাই মাসে রোপনের উপযুক্ত সময়। রোপা আউষ ও পাট কাটার পর পতিত জমিতে রোপন করলে ঐ জমিতে একটি বাড়তি ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হয়। এই ফসলটি ৯০ দিনের ফসল হলে ও বীজ তৈরী করে রোপনের ৬০ দিনের মধ্যে উঠে যায়। এসময় সাধারনত কম বেশি বৃষ্টি হয়ে থাকে তাই এতে সেচ তেমন একটা লাগেনা সামান্য সার ছক্রাক নাশক ব্যবহার করতে হয়।

এদনা গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, সে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনা মূল্যে বীজ নিয়ে নিজে চারা তৈরী করে এক বিঘা জমিতে এই চাষ করেছে। তার  গাছ ও খুব ভালো হয়েছে গাছে ফুল আসতে শুরু করেছে। এপর্যন্ত তার খরচ হয়েছে বীজ বাদে সাড়ে চার হাজার টাকার মতে। গাছ ও ফুল ফল দেখে মনে হচ্ছে ফলন ভালো হবে দেখা যাক কেমন হয়।  

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিধ মনিরুজ্জামান বলেন, পেরিলা একটি ভোজ্যতেল ফসল, যার শতকরা ৬৫ ভাগই ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। এর তেল আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। বিশেষ করে হৃদযন্ত্র, মস্তিক ও ত্বকসহ ডায়াবেটিস রোগে এটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

এই পেরিলা তেল খুবই স্বাস্থ্য সম্মত। এর পাতা সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। এতে সলিষা বা অন্যান্য তেলে ইউরেসিক এ্যাসিড থাকলে ও  এই তেলে ইউরেসিক এ্যাসিড নাই। তাই এই চাষে উদ্বুদ্ধ করতে চাষিদেরকে বিনা মূলে বীজ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা মূলক ভাবে কয়েকজন চাষি চাষ করেছে। আমরা তাদের ক্ষেত নিয়মিত দেখা শোনা করা সহ বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছি। আশা করছি আমরা সফল হবো। সফল হলে এর বাজার দর ও ভালো কৃষকারা এই চাষের দিকে ঝুকে পড়বে। তাতে আমাদের অঞ্চলে তেলের পাহিদা অনেকাংশে পুরন হবে তেমনি আমদানি নির্ভরতা কুমে আসবে।