Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

দুর্গাপুরে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পিরা নেত্রকোনা

দুর্গাপুরে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পিরা

আগামী ১১ অক্টোবর পঞ্চমী তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। শিশির ভেজা দূর্বা ঘাসের ওপর ঝরে পড়া বকুল ফুল কুড়ানোর সময়টাতে মাতৃবন্দনায় মিলিত হবেন মাতৃভক্তবৃন্দ সকলেই। ইতোমধ্যে শিল্পীদের দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় পূর্ণরুপে ফোটে ওঠেছে দৃষ্টি নন্দন অধিকাংশ প্রতিমা। সারা দেশের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরেও চলছে প্রতিমা গড়ার কাজ। এ কাজে খুবই ব্যস্থ সময় পার করছেন প্রতিমা মৃৎশিল্পীরা। 

এ নিয়ে সোমবার বিভিন্ন মৃৎশিল্পিরা এ প্রতিনিধি কে জানান, দেবী দূর্গা আসছেন অন্ধকার আচ্ছন্ন পৃথিবীকে আলোকিত করতে। ঢাক, ঢোল, শংখ ধ্বনী আর উলুধ্বনী দিয়ে দেবী দূর্গাকে বরন করে নেয়ার অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে ভক্তরা। নিজেদের মনের মতো করে প্রতিমার নকশায় নিজেকে সেরা শিল্পী হিসেবে তুলে ধরতে দিন রাত পরিশ্রম করে ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মরত মৃৎ শিল্পীগন। প্রতি বছরের মতো এবারেও ধর্মীয় প্রথা অনুযায়ী ১১ অক্টোবর থেকে শারদীয় দূর্গোৎসবের আয়োজন চলবে।

প্রতি বছর মহাআনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকলেও কোভিড (১৯) করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশে মহামারী আকার ধারন করায় সরকারী ভাবে সামাজিক দুরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে শারদীয় দূর্গাউৎসব পালনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

দুর্গাপুর দশভুজা বাড়ীতে কর্মরত মৃৎশিল্পী নিরঞ্জন চন্দ্র পাল জানান, আমি দীর্ঘ ২৩ বছর যাবত প্রতিমা তৈরীর কাজ করে আসছি, আমার বাপ, দাদারাও এ কাজে নিয়োজিত ছিলেন, তাদের উত্তরসুরী হিসেবে আমিও এই কাজ করছি। প্রতি মন্ডপের প্রতিমা তৈরী বাবদ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা মুল্য গ্রহন করেন তিনি।

উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট মানেশ চন্দ্র সাহা বলেন, সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার প্রায় ৬০টি মন্ডপে পূজা উৎযাপন করা হবে। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এ উৎসব সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব-উল-আহসান এ প্রতিনিধি কে জানান, শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে দুর্গাপুরের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো। প্রত্যেকটা পূঁজা মন্ডপে সরকারি বিধি মোতাবেক পুজা সম্পন্ন্যের জন্য নেতৃবৃন্দকে নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ সভা করা হবে। আইন-শৃঙ্খলার যেন কোন অবনতি না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে পুলিশ প্রশাসনকেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সকলের সহযোগিতা পেলে আশা করছি শারদীয় পুজা ভালো ভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।