সৈয়দপুরের উৎপাদিত কলা যাচ্ছে বাইরের জেলায় নীলফামারী / 
ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে কলার। এই কলা বেচে কৃষকরা অর্থের মুখ দেখছেন। নীলফামারীর সৈয়দপুরের কৃষকরা অন্যান্য আবাদের চেয়ে কলাচাষে ঝুকে পড়েছেন বেশি। এই আবাদে খরচ তুলনামূলকভাবে কম কিন্ত লাভ বেশি। তাই কৃষকরা প্রতিবছরই কলা চাষের জমির পরিমাণ বাড়াচ্ছেন।
সূত্র জানায়, উপজেলার কামারপুকুর, কাশিরাম বেলপুকুর, খাতামধুপুর, বাঙালিপুর ও বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ জমিতে কলার চাষ করা হচ্ছে।এসব ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কলার চাষ হচ্ছে বোতলাগাড়ি ইউনিয়নে। এরমধ্যে মেহের সাগর, নেপালী সাগর, চিনি চম্পা, মালভোগ প্রভৃতি জাতের কলা চাষ হচ্ছে। এখানকার উৎপাদিত কলা ট্রাকে করে রাজধানী ঢাকাসহ বাইরের জেলায় পাঠানো হচ্ছে।
এ ইউনিয়নের শ্বাসকান্দর, চেংমারী, তালতলা পাড়া প্রভৃতি এলাকায় ব্যাপক হারে কলার চাষ করা হয়েছে।
এলাকার কৃষক আব্দুল কাদের, সাফায়েত আলী জানান, বাজারে বর্তমানে যে কোনো কলা ৩০/৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আমরা যেহেতু বাগান হিসাবে বিক্রি করি সে কারণে দাম একটু কম পাই। তবে এসব কলা কিনে লাভবান হচ্ছেন পাইকার ও খুচরা কলা ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, চারা রোপণের ৯ থেকে ১১ মাসের মধ্যে কলা বিক্রির উপযোগী হয়।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহিনা বেগম জানান, শহরে ভোরে কলার বাজারে আশেপাশের এলাকা থেকে আসা অনেক কলা ওঠে। বেচাকেনাও হয় প্রচুর। এলাকার কৃষকরা কলা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এ কারণে কৃষি বিভাগের তরফ থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, অন্যান্য ফসলের চেয়ে এই কলা চাষে খরচ কম। তাই কৃষকরা ঝুকে পড়েছেন কলাচাষে।