Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

রাজবাড়ীতে শিশু ও স্কুল ছাত্রী অপহরণ মামলার প্রধান আসামীর যাবৎজ্জীবন রাজবাড়ী

রাজবাড়ীতে শিশু ও স্কুল ছাত্রী অপহরণ মামলার প্রধান আসামীর যাবৎজ্জীবন

রাজবাড়ীতে ১২ বছরের শিশু ও চতুর্থ শ্রেনীর এক ছাত্রীকে অপহরন ও অপহরনের পরে ধর্ষন মামলায় প্রধান আসামী মোঃ মনির খান নামে এক আসামীকে যাবৎজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক শারমিন নিগার এ রায় দেন। এ মামলায় অপর চার আসামীকে বেখোসুর খালাশ প্রদান করা হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মনির খান শরিয়তপুর জেলার নরিয়া ইপজেলার শুভগ্রাম এলাকার মৃত আমির হোসেন খানের ছেলে। খালাস প্রাপ্তরা হলো, প্রাইভেট শিক্ষিকা জুলি, জুলির মা আনোয়ারা বেগম, ও প্রতিবেশি কল্পনা বেগম ও জবেদা বেগম। 

আদালত ও এজাহার সুত্রে জানাযায়, গত ২০১৬ সালের ১০ মার্চ সকাল সাড়ে নয় টায় গোয়ালন্দ উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের দারোগ আলীর মেয়ে জুলির কাছে প্রাইভেট পরতে যায় ওই শিশুটি। প্রাইভেট পরে আর বাড়িতে ফিরে না আসলে মেয়েটির মা জুলিদের বাড়ি গিয়ে জানতে চাইলে জুলি জানায় ওই শিশুটি পড়া শেষ করে অনেক আগেই বাড়ি চলে গেছে। এরপর নিকট আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশির বাড়িতে খোজাখুজি করে আর পাওয়া যায়না শিশুটিকে। তার এক বছর পর ২০১৭ সালের ১৩ মে মেয়েটি ফোন করে জানায়, তার প্রাইভেট শিক্ষিকা জুলি, জুলির মা আনোয়ারা বেগম ও প্রতিবেশি কল্পনা বেগম ও জবেদা বেগম মিলে তাকে আসামী মনির হোসেনের মাইক্রোবাসে তুলে দেন। এরপর মনির খান প্রথমে ঢাকায় ও পরে শরিয়তপুরে মনির খানের বাড়িতে আটকে রাখে ও নির্যাতন করে। এ ঘটনায় ওই দিনই ২০১৭ সালের ১৩ মে মেয়েটির মা গোয়ালন্দ ঘাট থানায় বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। 

রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাডভোকেট উমা সেন বলেন, ১২ বছরের চতুর্থ শ্রেনীতে পরুয়া ওই শিশুটি মা মামলা দায়েরের পর দীর্ঘদিন এ মামলা চলে আসছিলো। দীর্ঘ শুনানি শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিজ্ঞ বিচারক শারমিন নিগার মামলার মূল আসামীর যাবৎজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে। এ রায়ে আমরা সন্তুুষ্টি প্রকাশ করেছি। রায় প্রদান কালে আদালতে মুল আসামী উপস্থিত ছিলেন না।