Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

সৈয়দপুরে আধুনিক প্রযুক্তিতে দেশি মাছ চাষ নীলফামারী

সৈয়দপুরে আধুনিক প্রযুক্তিতে দেশি মাছ চাষ

প্রায় হারিয়ে যাওয়া দেশি মাছ চাষ করা হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তিতে। প্রতিটি ইউনিয়নে প্রদর্শনী পুকুরে চাষীদের উদ্বুদ্ধ করে এসব মাছ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। ফলে চাষকরা মাছ বাজারে ওঠায় কম দামে আমিষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে মানুষের।

রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে ৫৭৩টি পুকুরে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এরমধ্যে নীলফামারীর সৈয়দপুরে পাঁচটি ইউনিয়নে ১২টি পুকুরে প্রকল্পের আওতায় মাছ চাষ করা হচ্ছে। এসব পুকুরে শিং, মাগুর, পাবদা, গলদা চিংড়ি, গুলশা ইত্যাদি মাছের চাষ হচ্ছে।সৈয়দপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সানী খান মজলিস জানান, মাঠ পর্যায়ে চাষি ও পুকুর নির্বাচন করে মাছ চাষের জন্য তৈরি করা হয়। চাষিদের পোনা মাছ ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। একজন চাষিকে এসব সুবিধা দিয়ে আরও পাঁচ জন বন্ধু চাষি নির্বাচন করা হয়। যাতে তাঁরা উদ্বুদ্ধ হয়ে মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেন। এজন্য সকলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

এসব পুকুর সার্বক্ষণিক দেখভাল করার জন্য রয়েছে একজন পুকুরের ডাক্তার। যাকে লীফ ম্যান বলা হয়। ছোটখাটো সমস্যা হলে তারই সমাধান করেন।এ প্রসঙ্গে রংপুর বিভাগের ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের (২য় পর্যায়) উপ-প্রকল্প পরিচালক বদরুজ্জামান মানিক জানান, রংপুর বিভাগে ৫৭৩টি পুকুরে দেশি মাছ আধুনিক প্রযুক্তিতে চাষ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে চাষিদের উপকরণ সহায়তা বাবদ ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। চাষিরা আগ্রহ নিয়ে এসব মাছের চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের খোর্দ্দ বোতলাগাড়ি গ্রামের মাছ চাষি মোহেবুল্লাহ সরকার জানান, তিনি ৪০ শতক পুকুরে শিং, মাগুর ও অন্যান্য মাছের চাষ করেছেন। মাত্র কয়েক মাসে মাছ খাবার উপযোগী হয়েছে। তিনি আশা করছেন পুকুরে ১ হাজার ৩৩৩ কেজি মাছ উৎপাদিত হবে। যা বর্তমান বাজার মূল্যে ৩ লাখ ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হবে। এতে খরচ বাদে তাঁর ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা লাভ থাকবে। এসব দেখে এলাকার অন্যান্য চাষিরাও মাছ চাষে এগিয়ে আসছেন।