Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

দেশে আরও বিস্তৃত পরিসরে কমিউনিটি এনগেনজমেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা পাওয়ার প্রত্যাশা প্ল্যাটফর্মটির

পঞ্চম বছরে লাইকি! তথ্য ও প্রযুক্তি

পঞ্চম বছরে লাইকি!

ব্যবহারকারীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ এবং তাদের বিনোদন ও শিক্ষার মাধ্যমে বিকশিত করার লক্ষ্য নিয়ে পঞ্চম বছরের পা দিয়েছে জনপ্রিয় স্বল্পদৈর্ঘ্য ভিডিও অ্যাপ লাইকি। বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে, তরুণদের মাঝে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় এ ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম গত ২৬ জুলাই বিশ্বব্যাপী যাত্রা শুরু করার চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করেছে।

বর্তমানে লাইকি বিশ্বজুড়ে ১০ কোটিরও বেশি সদস্যের একটি পরিবার। বাংলাদেশে এ অ্যাপটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় ২০১৯ এর জুলাইয়ে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নিজেদের মেধা ও প্রতিভা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে সৃজনশীল নেটিজেনরা লাইকি’কে তাদের সবচেয়ে পছন্দের অ্যাপ হিসেবে গ্রহণ করেছে।

ব্যবহারকারীদের সুপ্ত প্রতিভা প্রকাশে উৎসাহ দেয়ার পাশাপাশি লাইকি ব্যবহারকারীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ তৈরি ও শিক্ষার মাধ্যমে বিনোদন ও শিক্ষামূলক বিষয়ে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন আয়োজন করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ব্যবহারকারীদেরকে দেশের প্রতি ভালোবাসা ও ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে উদ্দীপ্ত করতে অ্যাপটি ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিজয় দিবসের ক্যাম্পেইন আয়োজন করে, যেখানে ৩৭ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করে এবং ২০২১ এর মার্চে স্বাধীনতা দিবসের ক্যাম্পেইনে ৫৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করে।

প্ল্যাটফর্মে মেধাবী সৃজনশীল ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করতে ব্র্যান্ডটি “লাইকি ট্যালেন্টস” শীর্ষক একটি ক্যাম্পেইন চালু করে, যেখানে প্রায় ৯৪৯ মিলিয়ন মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে লাইকি’র শিক্ষামূলক #স্টেপস২লার্ন ক্যাম্পেইনে এ পর্যন্ত ৪.৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেছ; এটি অসংখ্য ব্যবহারকারীকে একসাথে শেখার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে।

বাংলাদেশে লাইকি’র হেড অব অপারেশনস জয় বলেন, “বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা আমাদের বিশ্বব্যাপী লাইকি পরিবারের অন্যতম প্রাণবন্ত এবং সক্রিয় অংশ।” তিনি আরও বলেন, “ইন্টারনেট এখন অত্যন্ত সহজলভ্য। এ সময়ে ভার্চুয়াল অংশগ্রহণ থেকে সর্বাধিক সুবিধা পেতে মানসম্পন্ন কনটেন্টসমৃদ্ধ কমিউনিটি নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে লাইকি প্রতিনিয়ত স্থানীয় সংস্কৃতি ও ট্রেন্ড সম্পর্কে শিখছে এবং সে অনুযায়ী নিজেদের উন্নয়ন করার চেষ্টা করছে, যেন আমরা বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জীবনে আরো বেশি কিছু যোগ করতে পারি। দেশের পছন্দনীয় ইনফোটেইনমেন্ট সল্যুশন হিসেবে থাকতে সামনের দিনগুলোতে আমরা আরও বেশি আকর্ষণীয় ক্যাম্পেইন নিয়ে আসবো।”

নুসান তাসিম ও মারজিয়া মিমির মতো লাইকির ইনফ্লুয়েন্সাররা “সেফকিপার চ্যানেল আই ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২০”- এ সেরা ভিডিও কনটেন্ট নির্মাতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তাদের সাফল্য অন্যান্য তরুণ ব্যবহারকারীদেরকে মনোমুগ্ধকর সৃজনশীল কনটেন্ট তৈরির জন্য ব্রেইনস্টোর্মিং -এ অনুপ্রাণিত করেছে। তরুণ মেধাবীদের সবার সামনে নিয়ে আসার পাশাপাশি,  লাইকি সব ধরনের ভার্চুয়াল অসদাচরণের বিরুদ্ধে কঠোর ও অনমনীয়। অনুপযুক্ত ও বিভ্রান্তিকর কনটেন্টের বিরুদ্ধে লাইকির জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে, যা সকল কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য একটি নিরাপদ ক্ষেত্র নিশ্চিতে ভূমিকা রাখে।

অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ একটি ডিজিটাল দেশ হিসেবে নিজেকে রূপান্তরিত করার লক্ষ্য এগিয়ে চলছে। লাইকির মূলমন্ত্রও এমন দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সম্পূর্ণভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। লাইকিও এক্ষেত্রে বিভিন্ন সাংস্কৃতিকভাবে প্রাসঙ্গিক এবং শিক্ষা বিষয়ক নানা ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটি লক্ষাধিক ব্যবহারকারীকে কানেক্ট করার মাধ্যমে তাদের ডিজিটাল বিশ্ব সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে সহায়তা করছে।  লাইকি বাংলাদেশের আইন ও বিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং প্ল্যটফর্মটি এর সকল বাংলাদেশি অংশীজনের কাছ থেকে সহযোগিতা প্রত্যাশা করে, যাতে লাইকি আগামী বছরগুলোতে আরও বিস্তৃত পরিসরে উন্নত কমিউনিটি এনগেজমেন্ট প্ল্যানের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নতিতে ভূমিকা রাখতে পারে।