Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

নগরকান্দায় একাধিক মামলার আসামিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে সুপারিশ! ফরিদপুর

নগরকান্দায় একাধিক মামলার আসামিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে সুপারিশ!

ফরিদপুরের নগরকান্দায় একাধিক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি মেহেদী হাসানকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে সুপারিশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই ঘটনা চাউর হলে নগরকান্দা উপজেলায় সক্রিয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। এছাড়া এ ঘটনায় উপজেলাব্যাপী আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।

মেহেদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অফিস ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুর ছাড়াও ডাকাতি একটি মামলায় তার নাম থাকা নিয়ে।  

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলা ছাত্রলীগের পদ বাগিয়ে নিতে স্থানীয় নেতাদের কাছে তদবির ও দৌড়ঝাপ করছেন মেহেদী। এ বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি মহলের সবুজ সংকেতও মিলেছে বলে মেহেদী জানিয়েছেন বিভিন্ন জনের কাছে। ইতোমধ্যে সেই মহল তার নাম সুপারিশ করে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগ বরাবর লিখিত তালিকা পাঠিয়েছে।

উপজেলা ছাত্রলীগের একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সম্প্রতি মেয়াদউত্তীর্ণ হওয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগ। সেই সঙ্গে নতুন কমিটিতে পদ প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মনিরুজ্জামান সরদারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। এছাড়া প্রভাব খাটিয়ে তালমা এলাকায় স্থানীয় লোকদের মারধর, বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটের অভিযোগ রয়েছে মেহেদির বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর করে নাশকতার মামলার আসামি হয়ে পলাতক আছেন।  

এদিকে মেহেদীর বিরুদ্ধে একটি মামলার বাদী মজনু পাটোয়ারি বলেন, গরিবের বেলায় যত আইন। আমাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। আমি কি এর বিচার পাব না? মেহেদীর বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্তে¡ও পুলিশ তাকে ধরছে না। অথচ সে প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। সে আমার বাড়িতে এসে আবারো আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে।

এদিকে মেহেদী হাসান সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন একটি পক্ষ আমাকে নিয়ে নানা অভিযোগ করছেন। আসলে ডাকাতি সহ কোন মামলা নেই। আমি এগুলোর সাথে জরিত নই। আমার নামে সব কিছু অতিরঞ্চিত হচ্ছে।    

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজীদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান বলেন, আমরা জেলা ছাত্রলীগ লাবু চৌধুরীর কাছে একটা তালিকা চেয়েছিলাম। সেই অনুযায়ী তিনি একটা তালিকাও পাঠিয়েছেন। মেহেদীর বিষয়ে কিছু অভিযোগ এসছে। সেগুলোর বিষয়ে আমাদের ছাত্রলীগের একটি টিম তদন্ত করে দেখছে। আমরা সিভিগুলো ইতোমধ্যে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দিয়েছি। আরেকটু দেখে কমিটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে তিনি জানান।