Opu Hasnat

আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ২০২৪,

খাগড়াছড়ির কারাগারে আসামীর মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে মামলা খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়ির কারাগারে আসামীর মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে মামলা

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার কারাগারে আসামীর মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে কোর্টে মামলা করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারে মিলন বিকাশ ত্রিপুরা নামে পর্ণোগ্রাফি মামলার এক আসামীর মৃত্যুর ঘটনায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করা হয়েছে। তবে জেলা কারাগারে মিলন বিকাশ ত্রিপুরা(২৬) নামে পর্নোগ্রাফি মামলার আসামির মৃত্যুটি আত্মহত্যাজনিত। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত প্রতিবেদনে এমনি চিত্র উঠে এসেছে। এর আগে ময়না তদন্ত রির্পোটে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডাক্তার নুপুর কান্তি দাস।

খাগড়াছড়ি কারাগারের জেলার মো: দিদারুল আলম ও ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: সাজ্জাদ হোসেনকে বিবাদী করে মৃত মিলন বিকাশ ত্রিপুরার বাবা মনসারাই ত্রিপুরা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার কোর্টে মামলা রুজু করেন।

অতিরিক্ত চিফ জ্যুডিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআর ১৫৪/২১ মামলাটি দায়ের করা হয়। বাদীপক্ষকে আইনগত সহায়তা করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী এডভোকেট সৃজনী ত্রিপুরা ও বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থার পক্ষে আইনজীবী এডভোকেট মহিউদ্দিন কবির বাবু। তাদের সহায়তা করেন আইনজীবী গৌরি প্রভা। বাদী পক্ষ এ মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ যথাযথ ক্ষতিপুরণ ও ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ২২ জুন আদেশের দিন ধার্য রেখেছে বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সৃজনী ত্রিপুরা। এদিকে, মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আত্মহত্যার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা: নুপুর কান্তি দাশ।

গত ২৮ মে পর্ণোগ্রাফি মামলার আসামি মিলন বিকাশ ত্রিপুরা খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারে তার মৃত্যু হয়। কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কারাগারের টয়লেটে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করে।

কারাগারে আসামীর মৃত্যুর ঘটনায় ইতোমধ্যে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি অপরটি কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়। দুটি তদন্ত কমিটিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। গত ২৯শে মে পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: সাজ্জাদ হোসেন।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত কমিটিতে অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মো: আবু সাঈদকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) জিনিয়া চাকমা ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মিটন চাকমা। কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।

এছাড়া কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ডিআইজি(প্রিজন) আরো একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছেন। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে রাঙ্গামাটির জেলা কারাগারের জেল সুপার মতিউর রহমান। অপর দুই সদস্য হলেন বান্দরবান জেলা কারাগারের ফোরকান ওয়াহিদ, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী সার্জন ডা: শামিম রেজা। উক্ত কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।