দৌলতদিয়া মাইক্রোবাস ডুবি, নিখোঁজ চালকের সন্ধান চান স্বজনরা রাজবাড়ী / 
এদিকে বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত দৌলতদিয়ার পল্টুন থেকে পানিতে ডুবে যাওয়া মাইক্রোবাসের চালক সিলেটের বাসিন্দা মারুফ হোসেনের খোজে অপেক্ষা করেও মরদেহ পাননি স্বজনেরা।
নিখোঁজ চালকের স্বজনদের আহাজারিতে ভারি দৌলতদিয়ার বাতাস। চালক মারুফ হোসেনের স্বজনরা অভিযোগ করেন তারা রাতের বেলায় ঘটনাস্থলে আসলেও উদ্ধার কাজে বা সহযোগিতা করার মতো কাউকেই খুঁজে পাননি তারা।
স্থানীয়রা জানান, দৌলতদিয়া ঘাটের ৫ নম্বর পল্টুনটি ছিলো একেবারেই দুর্বল ও পুরাতন তার দিয়ে বাধা যে কারনে মুহুর্তেই ছিড়ে ঘাট থেকে একশত হাত নদীর ভিতরে চলে যায় পল্টুনটি।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঘাটের দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিসি সারেং আব্দুর রহমান। তিনি দাবী করেন ১১ টি শক্ত তার দিয়ে বাধা ছিলো ঘাটটি। ঝড়ের কারনেই ছিড়ে গেছে তার।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল পৌনে বারোটার দিকে প্রচন্ড ঝড়ে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের পল্টুনের রশি ছিড়ে পল্টুনটি নদীর অন্তত একশত হাত ভিতরে চলে গেলে পানিতে ডুবে যায় মাইক্রোবাসটি। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবী করেন গাড়িটিতে পাচ থেকে ছয়জন যাত্রি ছিলেন।
এরপর দেড় ঘন্টা চেষ্টার পর গাড়িটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলেও কোন যাত্রি ও চালকে উদ্ধার করতে পারেনি উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।