Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

বাড়ী ফেরার পথে লাশ হয়ে ফিরলো সাংবাদিক বিজন মিডিয়ানেত্রকোনা

বাড়ী ফেরার পথে লাশ হয়ে ফিরলো সাংবাদিক বিজন

নেত্রকোনার দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সদস্য, দৈনিক আমাদের সময় এর উপজেলা প্রতিনিধি বিজন কৃষ্ণ রায় চন্দন (৫৪) তার পেশাগত কাজ শেষে ময়মনসিংহ থেকে বাড়ী ফেরার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে ট্রাক ও সিএনজি‘র মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সাংবাদিক বিজন কৃষ্ণ রায় দুর্গাপুর পৌর শহরের বাগিচাপাড়া এলাকার স্বর্গীয় বিশ্বেশ্বর রায়ের ছেলে।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাব মিটিং শেষে বাড়ী ফেরার পথে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা মহাসড়কের তারাকান্দা উপজেলার গাছতলা এলাকায় সিএনজিটি পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাংবাদিক চন্দন। 

শ্যামগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নয়ন দাস এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইতোমধ্যে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও সিএনজি জব্দ করা হলেও ট্রাক ও সিএনজি চালকদ্বয় পলাতক রয়েছে। এ নিয়ে কোন অভিযোগ না থাকায় লাশের সুরতহাল শেষে সাংবাদিক বিজন কৃষ্ণ রায়ের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশ ফাঁড়ি থেকে রাত ৯টায় বিজন কৃষ্ণ রায় এর মরদেহ দুর্গাপুর প্রেসক্লাব চত্বরে আনা হলে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেই সাথে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব-উল-আহসান এর পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভুমি) রুয়েল সাংমা, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুবল রঞ্চন কর, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন পলাশ, ওসি দুর্গাপুর থানা শাহ নুর এ আলম, দুর্গাপুর বণিক সমিতি, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ শ্রেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তার এই অকাল মৃত্যুতে, দুর্গাপুর প্রেসক্লাব ৩ দিনের শোক ঘোষনা করেন। 

এছাড়া দুর্গাপুর পৌর মেয়র আলা উদ্দিন আলাল, যুগান্তর ষ্টাফ রিপোর্টার হাবিব সারোয়ার আজাদ, নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামলেন্দু পাল, আমাদের সময় এর জেলা প্রতিনিধি আজহারুল ইসলাম বিপ্লব, দুর্গাপুর প্রেসক্লাব পরিবার, বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাবেক পরিচলাক শরদিন্দু সরকার স্বপন হাজং গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। শনিবার রাত ১টার দিকে তার গ্রামের বাড়ী চন্ডিগড় ইউনিয়নের কেরনখলা গ্রামে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।