Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

Friends Association এর ভালোবাসা প্রকাশের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ক্যাম্পাস

Friends Association এর  ভালোবাসা প্রকাশের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

এহসানুল হক এহসান, জবি :  আজ দুপুর ২টায় Friends Association এর সকল সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতায় ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আহ্বায়ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রোকনুজ্জামান টুকু, সংগঠনটির সদস্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহীনুর রহমান বিন শহীদ, নুসরাত জাহান, ইব্রাহিম শেখ, শফিকুল ইসলাম এবং সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী সারজিনা জিয়া।

সংগঠনটির অন্যতম সদস্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের  ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, সংগঠনটির পাশে থাকতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সংগঠনের সকল সদস্যদের। এভাবে আমরা সকলে যদি এগিয়ে আসি তাহলে কোন মানুষই অনাহারে থাকবে না। খাদ্য, বস্থ, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা পাওয়া এদের ও অধিকার। আসুন আমরা সবাই এক হয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে অগ্রণী ভূমিকা রাখি।

সংগঠনটির অন্যতম সদস্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহীনুর রহমান বিন শহীদ বলেন, ‘দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে মানবতা! স্বার্থপরতা আর স্বজনপ্রীতি আমাদের সার্বজনীন ভালোবাসাকে সংকুচিত করে রেখেছে। ভুলে যাচ্ছি আমরা মহানবীর আদর্শ। স্বল্প পরিসরে হলেও ‘ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশন' এর মাধ্যমে যে কার্যক্রম হলো অবশ্যই এটি প্রশংসিত। এ যেন রাসুল সা. এর আদর্শের পুনর্জাগরণ। এমন কার্যক্রম বারবার প্রত্যাশা করি। এগিয়ে যাক প্রাণের সংগঠন।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম শেখ বলেন, মুখের হাসি সেটা তো টাকা দিয়ে কেনা যায়না, এই হাসি কিনতে টাকা লাগেনা, লাগে নিজের প্রচেষ্টা আর মানুষের প্রবল ইচ্ছাশক্তি।  আমি এমন কার্যক্রমে অংশগ্রহণে করতে পেরে ও নিজে স্বয়ং কাজ করতে পেরে মনের ভেতরে অন্যরকম একটি প্রশান্তি পেয়েছি। আমার মতে প্রত্যেক মানুষ একটি পথ শিশু/মানুষের দায়িত্ব নিলে, তাদেরকে আর কখনও পথশিশু ডাকটা শোনা লাগবেনা। তারা হয়ে উঠবে শিশু, করবে স্বাভাবিক জীবন যাপন। তাইতো সবার এগিয়ে আশা একান্ত কাম্য।

সংগঠনটির আহ্বায়ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রোকনুজ্জামান টুকু বলেন, ভালোবাসা হলো সার্বজনীন, ধনী দরিদ্র সকলের জন্য ভালোবাসা সমান। আর মানুষের জন্য ভালো কিছু করতে পারলে নিজের মধ্যে অন্যরকম একটা ভালো লাগা তৈরি হয়, অন্যরকম একটা প্রশান্তি পাওয়া যায়। তাই আমাদের সবারই উচিত নিজেদের অবস্থান থেকে এগিয়ে আসা। তাহলে বেঁচে যাবে দরিদ্র্য মানুষ, দূর হয়ে যাবে ক্লান্তি, দেখা দিবে পরষ্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন।

মানবতা বেঁচে থাকলে বেঁচে থাকবেন আপনি এই স্লোগানকে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে অত্র সংগঠন। আগামী দিনগুলোতে এভাবেই অব্যাহত থাকবে তার  কার্যক্রম। এজন্য দরকার আপনাদের এগিয়ে আসা। মানবতার ময়দানে নিজেকে আত্মনিয়োগ করা। তাহলে ইনশাআল্লাহ সমাজ থেকে দারিদ্র্যতা দূর হয়ে যাবে। দেখা দিবে সমাজের মানুষের মধ্যে শান্তির ছাঁয়া।