লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার শাকচর গ্রামের একটি পুকুর থেকে আসমা আক্তার (১৪) নামে এক কিশোরীর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।
নিহত আসমা ওই গ্রামের ফয়েজ আহমেদের মেয়ে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, আসমাকে রেখেই তার মা ফয়েজ আহমেদের কর্মস্থল ফেনীতে যান। আসমার দেখাশোনার জন্য তার নানী হালিমা বেগমকে দায়িত্ব দিয়ে যান। শনিবার সন্ধ্যায় আসমাকে তার বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্বজনরা। রাত ৮টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ভাসতে দেখে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের মামা হানিফ ও নানী হালিমা বেগম জানান, পুকুর থেকে উদ্ধারের সময় আসমার শরীরে কোনো পোশাক ছিল না। এছাড়া তার শরীরে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্নও ছিল। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা। তবে কে বা কারা, কেন তাকে হত্যা করে থাকতে পারে সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তারা।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবদীন বলেন, আসমাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে না।