Opu Hasnat

আজ ১৩ জুন শুক্রবার ২০২৫,

সৈয়দপুরে উদ্ধার হতে যাচ্ছে ব্যবসায়ীর আত্মসাৎকৃত মালামাল নীলফামারী

সৈয়দপুরে উদ্ধার হতে যাচ্ছে ব্যবসায়ীর আত্মসাৎকৃত মালামাল

সৈয়দপুরে মেহেদী বাহিনী কর্তৃক আত্মসাৎকৃত ব্যবসায়ীর মালামাল আদালতের আদেশক্রমে উদ্ধার হতে যাচ্ছে। আগামী সোমবার এ মালামাল উদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এম এ সাইদ। এর আগে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত নীলফামারী গত ১ জুন ৩৭৩ (৩) নং স্মারকে এক মালামাল উদ্ধারের এক আদেশ প্রদান করেন। আদেশে মালামালের তালিকা সঠিক না থাকায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে বাদি পক্ষ পূণরায় সঠিক তালিকা করে আদালতে একটি আবেদন করলে আদালত গত ৯ জুন মালামাল উদ্ধারের চুড়ান্ত আদেশ প্রদান করেন। যা গত ১০ জুন ৩৯৪ নং স্মারকে সৈয়দপুর থানায় পৌছেছে বলে জানা গেছে। উলে­খ্য যে, গত ০১/০৫/২০১৫ ইং তারিখে রংপুর রোড বিসিক শিল্পনগরী সংলগ্ন এলাকায় ভাংড়ী ব্যবসায়ী হাসান আলীকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ডেকে নিয়ে ওই এলাকার শহিদুল হাজীর ছেলে মেহেদী ও তার বাহিনী একটি কক্ষে আটকিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। টাকা না দিলে তার হাত পা ভেঙ্গে তার গ্রামের বাড়ি থেকে ৮৫০ বস্তা কয়লা, ৩টি বিদেশী গাভী এবং ফাঁকা চেক ও স্ট্যামে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। পরে তাকে রাতে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গোডাউনে রাখা ৬৫ লাখ টাকার মালামাল মেহেদী বাহিনী আত্মসাৎ করে। পরে হাসানের ছোট ভাই হোসেন আলী বাদি হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ০১। মামলার পর মেহেদী বাহিনী আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। বাদিকে প্রকাশ্যে ভয় ভীতি দেখান মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। এছাড়া হাসান আলী বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। মামলার আসামীরা প্রভাবশালী ও অর্থশালী হওয়ায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার  করেনি। সৈয়দপুর থানা পুলিশ আসামী ধরতে ও মালামাল উদ্ধার করতে গড়িমসি শুরু করে। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে খবর প্রকাশিত হয়। অবশেষে আদালতের আদেশের পর সৈয়দপুর থানার টনক নড়ে। যা আগামী সোমবার বাদিকে নিয়ে মালামাল উদ্ধার করতে যাচ্ছে সৈয়দপুর থানা।