Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

পাবনায় রসুন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে কৃষি সংবাদপাবনা

পাবনায় রসুন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে

পাবনায় চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হাজার টন বেশি রসুন উৎপাদন হয়েছে। ফলে চলতি বছর জেলায় মসলাটির দাম ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। রমজানে কম-বেশি সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও কমেছে রসুনের।

জেলার স্থানীয় বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি মোটা দানার রসুন বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে একই পরিমাণ পণ্যের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে কেজিতে ১০-১৫ টাকা। এছাড়া ছোটা দানার রসুন আরো কম দাম বিক্রি হচ্ছে।

পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বিভূতি ভূষণ সরকার  জানান, চলতি বছর রসুন আবাদের লক্ষ্য ছিল ৫ হাজার ৮৫৭ হেক্টর। এর বিপরীতে উৎপাদন লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৩৮ হাজার ৩৭৬ টন। কিন্তু লক্ষ্যের চেয়ে অতিরিক্ত জমিতে মসলাটির আবাদ হওয়ায় উৎপাদন বেড়ে দাঁড়ায় ৪৮ হাজার ৯০৫ টনে।

চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রওশন আলম জানান, বিনা চাষ পদ্ধতিতে রসুন উৎপাদনের জন্য পরিচিত চাটমোহর উপজেলায় চলতি বছর প্রাথমিক পর্যায়ে ১ হাজার ৯৪৫ হেক্টর জমিতে রসুন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এর বিপরীতে উৎপাদনের লক্ষ্য ধরা হয় ১২ হাজার ৭৪৪ টন। পাবনা সদর উপজেলায় ১ হাজার ১৭২ হেক্টরের বিপরীতে উৎপাদন লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ৬৭৯ টন। আটঘড়িয়া উপজেলায় ৫১০ হেক্টরের বিপরীতে ৩ হাজার ৩৪২ টন, ঈশ্বরদীতে ১৪৫ হেক্টরে ৯৫০, ভাঙ্গুড়ায় ৬৫ হেক্টরে ৪২৬, ফরিদপুরে ১২৫ হেক্টরে ৮১৯ ও বেড়ায় ৬৫৫ হেক্টর ৪ হাজার ২৯২ টন রসুন উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া সাঁথিয়া উপজেলায় ৭৩০ হেক্টরে ৮ হাজার ৭৮৩ ও সুজানগরে ৫১০ হেক্টর জমির বিপরীতে মসলাটির উৎপাদন লক্ষ্য ধরা হয় ৩ হাজার ৩৪১ টন।

জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর জানায়, রসুনের দাম কমে গেলে কৃষক তেমন ক্ষতিগ্রস্থ হবেন না। কারণ পাবনায় সিংহভাগ কৃষক বিনা চাষ পদ্ধতিতে রসুন আবাদ করে থাকেন। এতে উৎপাদন খরচ হয় অনেক কম।