Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

নগরীর প্রানকেন্দ্র বিবির পুকুরের পানির ফোয়ারা তুলে মাছ চাষের প্রস্তুতি বরিশাল

নগরীর প্রানকেন্দ্র বিবির পুকুরের পানির ফোয়ারা তুলে মাছ চাষের প্রস্তুতি

নগরীর প্রানকেন্দ্রের (সদর রোডের) ঐতিহ্যবাহী বিবির পুকুরের কোটি টাকার সৌন্দর্য ফোয়ারা তুলে মাছ চাষের পস্তুতি নিয়েছেন ২৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগর আ.লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান হিরু। ইতোমধ্যে পুকুরের অধিকাংশ পানি নিসকাশন করে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য পুকুরের মাঝ বরাবরে বসানো কোটি টাকা মূল্যের পানির ফোয়ারা তুলে পুকুরের পাশে রাখা হয়েছে। ফলে পুকুরের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নের একমাত্র রূপকার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট শওকত হোসেন হিরণ বিবির পুকুরের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য  ২০১২ সালে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে পুকুরের মধ্যে তিনটি উন্নতমানের লাইটিং ফোয়ারা স্থাপন করেন। তার (হিরণের) আকস্মিক মৃত্যুর পর রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে নগরীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ক্রমেই ভাটা পড়ে। যারমধ্যে বিবির পুকুরের সৌন্দর্য বর্ধনের ফোয়ারা তুলে প্রভাবশালী ওই কাউন্সিলর মাছ চাষের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। যেকারনে গত নয়দিন পূর্বে পুকুরের মধ্য থেকে ফোয়ারাগুলো টেনে এনে পার্শ্বে রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশনের চিফ ইঞ্জিনিয়ার খান মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, কোনো প্রকার অনুমতি না নিয়েই কাউন্সিলর আক্তারুজ্জামান হিরু প্রভাব দেখিয়ে পুকুরের মধ্যে থাকা পানির ফোয়ারা সরিয়ে ফেলেছেন। মূল্যবান এ ফোয়ারা সরানোর আগে বিষয়টি তাকে জানানো উচিত ছিলো। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি জানার পর সোমবার সকালে কর্পোরেশনের ইলেকট্রনিক বিভাগকে ফোয়ারাটি পূনঃরায় স্বস্থানে নিয়ে চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রনজিত কুমার বলেন, আমি সদ্য এখানে যোগদান করেছি। তাই বিষয়টি আমার জানা নেই। তার পরেও বিষয়টির খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল বলেন, যেকোনো মূল্যে পুকুরের সৌন্দর্য্য রক্ষা করা হবে। ফোয়ারা চালু রাখার জন্য স্বচ্ছ পানির প্রয়োজন। মাছ চাষ করলে পুকুরের পানি নষ্ট হয়ে যায়। তাই পুকুরে মাছ চাষ বন্ধ করে আগামি মাসের শুরুতেই নতুন ফোয়ারা নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
অভিযুক্ত সিটি কাউন্সিলর আক্তারুজ্জামান হিরু বলেন, গত ৫ বছর পূর্বে তিনি করপোরেশন থেকে লিখিতভাবে পুকুরটির ত্বত্তাবধায়নের দ্বায়িত্ব ও মাছ চাষের অনুমতি নিয়েছেন। তবে বিশাল আকৃতির এ পুকুরের বিক্রীত মাছের অর্থ সিটি কর্পোরেশনের তহবিলে জমা হয় কি না জানতে চাইলে তিনি (হিরু) কোনো স্ব-দূত্তর দিতে পারেননি।