ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে নড়াইলে নির্যাতিত গৃহবধূ ববিতার সংবাদ সম্মেলন নারী ও শিশু /  নড়াইল / 
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালবরাত গ্রামের নির্যাতিত গৃহবধূ ববিতা খানম ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন । সোমবার (২২ জুন) দুপুরে ববিতার বাবার বাড়ি নড়াইলের এড়েন্দা গ্রামে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। লিখিত বক্তব্যে ববিতা বলেন, গত ৩০ এপ্রিল শ্বশুরবাড়ি শালবরাত গ্রামে গাছে বেঁধে তার ওপর নির্মম নির্যাতন করা হয়। স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি, ভাসুরসহ এলাকার মাতবর আজিজুর রহমান আরজু গাছে বেঁধে তাকে লাঠিপেটা করে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পরে ঘটনার মূল হোতা লোহাগড়ার পদ্মবিলা গ্রামের আজিজুর রহমান আরজু আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। গত ২ জুন আদালতে স্থায়ী জামিন পেয়ে তাকে এবং তার বাবা, মা, ভাইসহ পরিবারকে নানা ধরণের হুমকি দিচ্ছে। এতে করে তিনি এবং তার পরিবার নিরাপত্তা ও মামলার ন্যায় বিচার নিয়ে শংকিত। আরজু এবং আসামি পক্ষের লোকজন তার পরিবারের ওপর আবারও হামলা চালাতে পারে বলে তিনি আশংকা করছেন। এ ঘটনায় কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খানের ছেলে মনিরুজ্জামান সেন্টুও নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এর আগে মনিরুজ্জামান সেন্টু তার ভাই হাদিউজ্জামানকে মোবাইল ফোনে নানা ধরণের হুমকি দিয়েছে। এছাড়া আসামী পক্ষের লোকজন এলাকার চায়ের দোকানসহ পথে ঘাটে বলে বেড়াচ্ছেন, ‘এ মামলায় প্রধান আসামীসহ অভিযুক্তদের কিছুই হবে না। পরবর্তীতে ববিতা ও তার পরিবারকে দেখে নেয়া হবে’। ন্যায় বিচার পেতে ববিতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত পেতে সাংবাদিকসহ সুধীজনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ববিতার বাবা ইসমাইল মোল্যা, মা খাদিজা বেগম, ভাই হাদিউজ্জামান, ভাবী জলি বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা। এর আগে গত ১০ মে থেকে ১৩ জুন চিকিৎসা শেষে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বাড়ি ফেরেন ববিতা।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ এপ্রিল সকালে গৃহবধূ ববিতা খানমের শ্বশুরবাড়ির লোকজন শালবরাত গ্রামে গাছের সাথে বেঁধে তার ওপর বেধড়ক লাঠিপেটা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় ববিতার স্বামী শফিকুল শেখ, শ্বশুর ছালাম শেখ, শাশুড়ি সহ ৭ জনের নামে মামলা হয়। মূল আসামি আরজু ছাড়া অন্যরা বর্তমানে জেল-হাজতে আছেন।