বিএনপি আর সাজানো নির্বাচনে অংশ নেবেনা : মির্জা ফখরুল ইসলাম নীলফামারী / 
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মানুষের ভোটের অধিকার ও দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির প্রতিবাদে তারুণের মিছিলে রাজপথে নেমেছি। আর সরকারকে এক তরফার নির্বাচন করতে দেবে না জনগণ। সরকারকে হঠাতে এক দফার আন্দোলন জোরদার করতে হবে।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তারুণের মিছিল মিছিলের অংশ হিসাবে নীলফামারীর সৈয়দপুর বাসটার্মিনালে আয়োজিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পথসভায় বিএনপি রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিছ ইসলাম, বিএনপি সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আকতারসহ কেন্দ্রীয় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। প্রচন্ড রোদকে উপেক্ষা করে পথসভাটি জনসভায় রুপ নেয়। সকাল থেকে এসব বিএনপি মহাসচিবের কথা শোনার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, এই সরকার আমাদের ভোট দিতে দেয়নি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। রাতে ভোট করেছে। এইরকম ভোট করতে আর দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, বিএনপি আর সাজানো নির্বাচনে যাবে না।
তিনি নির্দলীয় সরকারের নির্বাচনসহ স্বাধীন নির্বাচন কমিশন দাবি করে উপস্থিত জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবেন? তখন জনগণ বলতে থাকেন না না। তিনি উল্লেখ করে বলেন, সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। যাই করুক জনগণের আন্দোলন আর থামবে না। সরকারের বিদায় করে ছাড়বেন জনগণ।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়া প্রয়োজন। নিজেরা বারবার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করালেও তাকে এ সরকার যেতে দিচ্ছে না।
এর আগে বিএনপি মহাসচিব রংপুরে তারুণ্যের রোড মার্চ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।