হত্যার পর লাশ নদীতে : ১৩ বছর পর রায়, ২ জনের মৃত্যুদন্ড কুমিল্লা / 
কুমিল্লার হোমনায় এক যুবককে হত্যার পর লাশ ফেলা হয়েছিল তিতাস নদীতে। প্রায় ১৩ বছর পর সেই হত্যা মামলার রায়ে ২ জনের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন। একই সঙ্গে আদালত দুই আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ডের আদেশও দিয়েছেন।
দন্ডিতরা হলেন হোমনা উপজেলার বাগমারা পশিচমপাড়া গ্রামের মো. মজনু মিয়া ও কবির মিয়া। তবে রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন না। হত্যাকান্ডের শিকার আবদুল করিমও (৩৫) একই গ্রামের বাসিন্দা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, ২০১০ সালের ২৮ জুলাই বিকেলে হোমনা উপজেলার বাগমারা পশিচমপাড়া গ্রামের আবদুল করিমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়।
৪ দিন পর দুপুরে হোমনার বালুর মাঠের পশ্চিমে তিতাস নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের ভাই মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ১৭ জন সাক্ষীকে হাজির করে। তাদের সাক্ষ্যগ্রহণে হত্যার ঘটনা প্রমাণিত হয়।
এ ছাড়া দুই আসামিও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে টাকার লেনদেন নিয়ে ঝামেলায় হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।
দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে বুধবার দুপুরে আদালত মামলার রায় ঘোষণা করে দুই আসামিকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন।
তিনি আরো জানান, দুই আসামি পূর্বে গ্রেপ্তার হলেও জামিনে মুক্ত হয়ে বর্তমানে পলাতক। এ জন্য তারা রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন না।