Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

থ্রি-হুইলার তৈরি ও বাজারজাত শুরু করলো রানার অর্থ-বাণিজ্য

থ্রি-হুইলার তৈরি ও বাজারজাত শুরু করলো রানার

‘রানার অটোমোবাইলস পিএলসি’ বাংলাদেশে এলপিজি ও সিএনজিচালিত তিন চাকার অটোরিকশা তৈরি ও বাজারজাত শুরু করেছে। ফলে দেশে প্রথমবারের মত কোনো আন্তর্জাতিক থ্রি-হুইলার ব্র্যান্ডের ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা চালু হলো।

বার্ষিক প্রায় ৩০ হাজার ইউনিট উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে কারখানাটির। এর মাধ্যমে স্থানীয় চাহিদার পুরোটাই মেটাতে পারবে বলে আশা করছে কোম্পানিটি।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ময়মনসিংহের ভালুকায় রানার অটোমোবাইলস পিএলসি’র তিন চাকার অটোরিকশা তৈরির কারখানা ও বাজারজাতকরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিযোগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পর আমাদের সরকার এখন স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করছে। আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে আছি। আমাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটাতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে উৎপাদন হলেও এখনো থ্রি-হুইলারটি তৈরিতে ২০ থেকে ৩০ শতাংশের মতো যন্ত্রাংশের জন্য বিদেশের ওপর নির্ভর করতে হবে। তবে আমরা এটা তৈরিতে সম্পূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করতে চাই।

রানার যে পথে হাঁটছে, তার ফলে সেটা হয়তো অদূরেই দেখা যাবে। সরকার রপ্তানিমুখী শিল্প নীতি ও অটোমোবাইলস শিল্পের প্রসারে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে।

রানার অটোমোবাইলস পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সুবীর চৌধুরী বলেন, রানার অটোমোবাইলস পিএলসি দেশের মোটরসাইকেল শিল্পে প্রথম উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।

এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আজ থ্রি-হুইলার শিল্পে পা রাখলাম। আশা করছি, মোটরসাইকেলের মতো এই শিল্পেও আমরা সাফল্য অর্জন করব।

রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, আজ বড় আনন্দের দিন। দেশে প্রথম থ্রি-হুইলার ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানার যাত্রা শুরু করলাম।

এই স্বপ্নযাত্রাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ সহযোগিতা করেছে। তাদেরকে হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

তিনি বলেন, প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ একর জমিতে গড়ে তোলা রানারের ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার গাড়ি উৎপাদন করতে সক্ষম।

বাজাজ অটোর প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় ইঞ্জিনের কিছু উপাদান ছাড়াও ওয়েল্ডিং, চেসিস, বডি ও কোয়ালিটি কন্ট্রোলসহ অধিকাংশ যন্ত্রাংশ স্থানীয়ভাবে তৈরি হবে।

কারখানায় ৩০০ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রানার বাজাজ থ্রি-হুইলার হবে দেশের মানুষের জন্য যাত্রাপথে যোগাযোগের অন্যতম বাহন। রানার এ দেশে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে শিল্প বিকাশে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পেরে গর্বিত।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর ও কাজিম উদ্দিন আহমেদ, বিডা’র চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআই’র সভাপতি, রানার ও বাজাজ এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রমুখ।

এই বিভাগের অন্যান্য খবর