Opu Hasnat

আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ২০২৩,

সৈয়দপুরে প্রমীলা প্রীতি ফুটবল ম্যাচের নামে লটারী জুয়ার আয়োজন! নীলফামারী

সৈয়দপুরে প্রমীলা প্রীতি ফুটবল ম্যাচের নামে  লটারী জুয়ার আয়োজন!

প্রমীলা প্রীতি ফুটবল ম্যাচের নামে বেআইনীভাবে লটারী জুয়ার আয়োজন করা হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জুনের উদ্যোগে এটি অনুষ্ঠিত হবে। এমন  কাজকে উপজেলা ও থানা প্রশাসন অনুমোদন দেওয়ায় সচেতন মহলসহ সাধারণ মানুষের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সেইসাথে সদ্য নির্বাচিত উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে।

জানা যায়, শনিবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ৩ টায় বোতলাগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই খেলা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি করা হয়েছে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম। সভাপতিত্ব করবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পদাধিকারবলে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ফয়সাল রায়হান। বিশেষ অতিথি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম, থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি মহসিনুল হক মহসিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার একেএম রাশেদুজ্জামান প্রমুখ।

আয়োজক হিসেবে বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ দেখানো হয়েছে। আর শুধুমাত্র ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠানের বিষয় জানানো হয়েছে। কোন কাগজেই লটারী পরিচালনার উল্লেখ নেই। এমন আবেদনের প্রেক্ষিতে বোতলাগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রাব্বানী মাঠসহ স্কুলের কমনরুম ব্যবহারে অনুমতি দেওয়াসহ খেলা পরিচালনায় সার্বিক সহযোগীতা প্রদানের লিখিত আশ্বাস দিয়েছেন।

মাইকিং করা হচ্ছে ওইদিন খেলা উপলক্ষে লটারী জুয়া অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য ২০ টাকা মূল্যের টিকিট ছাপিয়ে তা সৈয়দপুর উপজেলাসহ আশপাশের দিনাজপুরের খানসামা, পার্বতীপুর, চিরিরবন্দর, নীলফামারীর সদর, কিশোরগঞ্জ, রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে ফুটবল ম্যাচ আয়োজনকে সাধুবাদ জানালেও অনুমোদনহীন লটারী জুয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল রায়হান বলেন, মেয়েদের ক্রীড়ায় উৎসাহী করতে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ আয়োজনে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। খেলার আড়ালে লটারীর মত অন্য কোন কাজের অনুমতি কোনভাবেই দেওয়া হয়নি। তাই এমন কিছু করতে দেওয়া হবেনা। এখনই তা বন্ধ করা হবে।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক ইয়াসির আরেফিন বলেন, লটারী এক প্রকার জুয়া। এই অবৈধ কাজের অনুমতি ইউএনও বা ওসি কোনভাবেই দিতে পারেননা। দিয়ে থাকলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অবিলম্বে এই আয়োজন স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হবে।