বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পরকীয়া প্রেমের অভিযোগে এক গৃহিনীর (২৭) চুল কেটে দিয়েছেন  সাবেক এক নারী ইউপি সদস্য। শুক্রবার ভোররাত ৩টার দিকে বলইবুনিয়া ইউনিয়নের কিচমত জামুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত গৃহিণীর স্বামী প্রবাসে রয়েছেন। তার ৫ বছরের  একটি  কন্যা সন্তান নিয়ে তিনি ওই ঘরে থাকেন।

পরিস্থিতির শিকার ওই গৃহিণী ঘটনার সময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে তাকে রক্ষার অনুরোধ জানান। মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ ভোররাত ৫ টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নির্যাতিত ওই গৃহিনীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

একইসঙ্গে চুল কর্তনকারী মনজিলা বেগমকে (৪৮) ও তার ছেলে রিয়াদ খানকে (২৬) আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগীর অভিযোগে অনুযায়ী রিয়াদ খান এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় বিধায় পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে। তবে চুল কাটার ঘটনায়  মনজিলার স্বামী মোঃ মোশাররফ খান (৬০) ও প্রতিবেশী সামসুর রহমান মোল্লার ছেলে বাবু মোল্লা (২৭) মনজিলা বেগমকে সহযোগিতা করেছেন বলে নির্যাতিত নারী  জানান।  

ভুক্তভোগী ওই নারী ঘটনার বর্ণনায় আরো জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে কিসমত জামুয়া গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ মোশাররফ খানের ছেলে মুরাদ খান (২১)  পাশ্ববর্তী  এক প্রবাসীর  ঘরে কৌশলে ঢুকে ঘরে থাকা ৪৮ হাজার টাকা নিয়ে চলে যাওয়ার সময়  প্রবাসীর স্ত্রী টের পেয়ে তার পিছু নেয় এবং চিৎকার চেঁচামেচি করতে করতে মোশাররফ খানের বাড়ির সামনে আসলে তাদের দ্বারা পরকীয়ার অভিযোগে নির্যাতনের শিকার হন। মনজিলা বলইবুনিয়া ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য। মনজিলার দাবি ওই নারী পরকীয়ায় আসক্ত।

এ বিষয়ে থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান বলেন, নির্যাতিত ওই গৃহিণী বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।