Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

সৈয়দপুরে ইঁটভাটার কালো ধোঁয়ায় নষ্ট ফসলের ক্ষেত, তদন্ত কমিটি গঠন নীলফামারী

সৈয়দপুরে ইঁটভাটার কালো ধোঁয়ায় নষ্ট ফসলের ক্ষেত, তদন্ত কমিটি গঠন

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইঁটভাটার কালো ধোঁয়ায় কয়েক হেক্টর ক্ষেতেরবোরো ধান নষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকগণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন ও ইউএনও মো. শামীম হুসাইন ক্ষতিগ্রস্ত জমি পরিদর্শন করে ইঁটভাটার মালিক ও কৃষান-কৃষানিদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আশা করি, আমরা তদন্ত শেষে যথাসময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন জমা দিব। তবে ইঁটভাটাগুলোর ধোঁয়ায় সঠিক কী পরিমাণ জমির ইরি-বোরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা পুরো তদন্ত শেষ না করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

গৃহস্থের তথ্যনুয়ায়ী জানা গেছে, উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়কের পশ্চিম পাশে তিন ফসলি আবাদি জমিতে পাশাপাশি তিনটি ইঁটভাটা গড়ে তোলা হয়েছে। এসব ভাটার কৃষি বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র বা সনদ নেই। এবং তারা এও জানান, নীলফামারী জেলা প্রশাসনের অনুমতিপত্র মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে অনেক আগেই। এ তিন ইঁটভাটার আশপাশে থাকা জমির মালিক কিংবা বর্গাচাষিরা প্রতিবছরের মতো চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধান চাষ করেন। এসবের মধ্যে আছে বিআর-২৮, বিআর-২৯ সহ বিভিন্ন জাতের ধান। এবার আবহাওয়াও অনেকটাই ইরি-বোরোর অনুকূলে থাকায় ধান ভালো হয়েছে।

এদিকে, ধানচাষিদের আনীত অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানিয়ে এমবিএস ব্রিকসের মালিক মোস্তফা ফিরোজ বলেন, নিয়ম-নীতি মেনে ভাটা পরিচালনা করছি। কয়লা ছাড়া কোনো দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করা হয় না।

সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম হুসাইন বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।