Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

সৈয়দপুরে বাড়তি পণ্য কেনার শর্ত জুড়ে দিয়ে সয়াবিন তেল বিক্রি! নীলফামারী

সৈয়দপুরে বাড়তি পণ্য কেনার শর্ত জুড়ে দিয়ে সয়াবিন তেল বিক্রি!

নীলফামারীর সৈয়দপুর বাজারে ক্রেতাগণকে বাড়তি পণ্য কেনার শর্তে বিক্রেতা উচ্চ মূল্যে সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন। ক্রেতার অন্য পণ্য প্রয়োজন না থাকা সত্তেও বাধ্যতামূলক কিনতে হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও মিলছে না সয়াবিন তেল। বেশ কিছু দোকানে তেল মজুদ থাকলেও তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য কেনার শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন দোকানিরা। অন্যথায় তেল বিক্রি করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এ বিষয়ে খুচরা বিক্রেতাগণের সাথে কথা হলে তারা জানান, কিছুদিন ধরে বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো চাহিদা অনুযায়ী তেল সরবরাহ না করায় সয়াবিন তেলের এ সংকট তৈরি হয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিপ্তরের নীলফামারীর উপ-সহকারী পরিচালক শফিউল আলম বলেন, বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হবে। যারা সয়াবিন তেল গুদামজাত করে রেখে কৃত্রিম সংকটের সৃষ্টি করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানে সয়াবিন তেল নেই । ক্রেতাগণতেলের জন্য এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ঘুরছেন। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা গেট বাজারে সয়াবিন তেল কিনতে আসা আসলাম হোসেন বলেন, আটটি দোকান ঘুরে একটিতে তেল পেয়েছি। কিন্তু দোকানদার সয়াবিন তেলের সঙ্গে বাড়তি পণ্য কিনতে বাধ্য করছেন। না হলে তেল বিক্রি করবেন না। আমরা সাধারণ ক্রেতাগণ বিপদে আছি। আবার কেউ কেউ বলছেন তেল না পেয়েখালি হাতেই ঘরে ফিরছি। ক্রেতাগণ বলছেন সরকারেরর সঠিক নজরদারি না থাকাতে এমনটি হয়েছে। 

বিক্রেতাগণ জানান, সয়াবিন তেল বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহ দোকানে তেল সরবরাহ করেনি। এ জন্য দোকানে তেল ফুরিয়ে গেছে। বিক্রয় প্রতিনিধিদের অনেক অনুরোধের পর মাত্র পাঁচ কার্টন তেল দিয়ে গেছেন। তা-ও চুক্তি সাপেক্ষে। বিক্রেতাগণ আরও বলেন, চুক্তিমতো একটি কোম্পানির তেলের সঙ্গে মরিচের গুঁড়ার প্যাকেট নিতে হয়েছে। আরেকটি কোম্পানির তেলের সঙ্গে বাধ্যতামূলক চা পাতার প্যাকেট নিতে হয়েছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ভোজ্যতেল কোম্পানির এক বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, তিনি একজন সাধারণ কর্মচারী। কেন তেল কম সরবরাহ করা হচ্ছে, তা ডিস্ট্রিবিউটর ও কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভালো বলতে পারবেন। এ বিষয় তিনি কিছুই বলতে পারবেন না।