সুনামগঞ্জের হাওরের বাঁধ বিপর্যয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন সুনামগঞ্জ / 
সুনামগঞ্জের হাওরের বাঁধ বিপর্যয়ের কারণে কৃষকদের ধান অকালে তলিয়ে যাওয়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় এডভোকেসী প্লাটফর্ম (হ্যাপ) এর আয়োজনে শহরের শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়নে স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এডভোকেসী প্লাটফর্ম (হ্যাপ) এর যুগ্ম আহবায়ক শরীফুজ্জামান শরীফ, সিএন আর এস এর প্রতিনিধি ইয়াহিয়া সাজ্জাদ, কৃষক নেতা অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, সুজনের নির্বাহী পরিচালক নির্মল ভট্টাচার্য্য। এছাড়া ও বক্তব্য রাখেন, প্রথমআলোর বিশেষ প্রতিনিধি এড. খলিল রহমান, মোহনা টিভির জেলা প্রতিনিদি কুলেন্দু শেখর দাস, একাত্তর টিভির প্রতিনিধি শামস শামীম প্রমুখ।
শরীফুজ্জামান শরীফ লিখিত বক্তব্যে বলেন, দুইদিন সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওর ঘুরে এসে বলেন, বাঁধ নির্মাণ ও রক্ষনাবেক্ষণে যথাযথ পর্যবেক্ষন করা হয়নি, এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ অবহেলা থাকার কারণে জেলার ১৫টি হাওরে বাঁধ ভেঙ্গে কৃষকদের সোনালী ফসল তলিয়ে গেছে। এই বাঁধগুলো আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড কন্ট্রাকটরের মাধ্যমে করাতেন কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু অসাধু এসওরা মিলে প্রতিটি বাঁধে প্রকৃত কৃষকদের পিআইসিতে অর্ন্তভূক্ত না করে দূর্নীতির মাধ্যমে কমিটিগুলোতে রাজনৈতিক স্বার্থে অনেক ভূমিহীনকে কমিটিতে নাম দিয়ে ব্যাপক অনিয়ম আর দূর্নীতির কারণেই সময়মতো বাঁধের কাজ শুরু করে শেষ ও করা হয়নি, এর দায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এরিয়ে যেতে পারেন না।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, গেল কয়েক বছর আগেও এই জেলার হাওরগুলোর ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে ব্যয় ধরা হতো ২০/২ কোটি টাকা আর লুটপাঠের জন্য এই ব্যয় ধরা হয়েছে শতকোটি টাকার উপরে। তিনি সুনামগঞ্জের বেশ কয়েকটি হাওর ডুবির ঘটনা ঢাকায় গিয়ে সরকারকে অবহিত করবেন তবে এই হাওরের নদীনালা ও জলাশয়গুলোতে প্রতিবছর পলি পড়ে নদীর নব্যতা কমে গেছে তিনি এসব নদীগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে খননের মাধ্যমে পানির ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধির দাবী জানান।