খরচ তোলার সংশয়ে জমি থেকে আলু তুলছেন না সৈয়দপুরের কৃষক! কৃষি সংবাদ /  নীলফামারী / 
খরচ তোলার সংশয়ে সৈয়দপুরের কৃষকগণ জমি থেকে আলু তুলছেন না। অথচ এখন আলুর ভরা মৌসম। তা সত্বেও মৌসুমে আলু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নীলফামারীর সৈয়দপুরের কৃষকগণ। লাভ তো দুরের কথা খরচ তোলা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন অনেক কৃষক। যার কারণে জমি থেকে আলু তুলতে চাচ্ছেন না তারা।
সজেমিনে কথা হলে কৃষকগণ বলছেন, বিঘা প্রতি আলু উৎপাদনে খরচ ১৫-১৬ হাজার টাকা, যেখানে বর্তমান বাজার দর ৫টাকা কেজি দরে বিক্রি করলে বিঘা প্রতি আসে ১২ হাজার টাকার কিছু বেশি। সে হিসাবে লোকসানে থাকতে হবে আলু নিয়ে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, এখনো আলু তোলা ও বেশি দামে বিক্রি হওয়ার অনেক সময় রয়েছে। সে কারণে কৃষকদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। ভালো দামে বিক্রি করতে পারবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন কৃষি দপ্তর।
উপজেলার কাশিরামের চওড়া আলু চাষী সাবেদুল ইসলাম জানান, দুই বিঘা জমিতে আলু করেছি আমি। এখন বাজার দর অনেক খারাপ। পাঁচ টাকা থেকে সাড়ে পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে জমিতে। এই দামে বিক্রি করলে লাভ তো দুরের কথা খরচ উঠবে না। একই এলাকার কৃষক প্রফুল্য চন্দ্র জানান, এক বিঘা জমিতে আলু করেছি আমি। ১৫হাজার টাকার কাছাকাছি খরচ হয়। এবার দাম কম মনে হচ্ছে। আলুর ফলন বাম্পার হয়েছে। বাজার তর ভাবিয়ে তুলছে আমাকে।
সৈয়দপুর কৃষি বিভাগ সুত্র হতে জানা যায়, এবারে নীলফামারী জেলায় ২২ হাজার ৩’শ হক্টরে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ২২ হাজার ৩১০ হেক্টরে। যেখানে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪লাখ ৪৯হাজার ৭৯১ মেট্রিক টন।
জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, আপাতত বাজার দর কম কিন্তু এই অবস্থা থাকবে না। যেভাবে হোক আলুগুলোকে সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে সে কারণে ওই এলাকায় আলু ভালো ফলন হয়নি। এসব বিবেচনা করে আলু সংরক্ষণ করে রাখলে মাস দুয়েক বা তিনেক পর ভালো দাম আসবে।
তিনি বলেন, জেলায় ১১টি হিমাগার রয়েছে। এগুলোতে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে আলু রাখার জন্য। এছাড়া সরকারিভাবে বিএডিসি’র বীজ উৎপাদন খামারে একটি বীজ হিমাগার স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। এটি হয়ে গেলে অনেক উপকৃত হবেন এখানকার আলু চাষিগণ।