পাঁচটি ফেরি বিকল, দৌলতদিয়ায় পারের অপেক্ষায় আটকা অন্তত ৫শ যানবাহন! রাজবাড়ী / 
পদ্মায় নাব্য সংকট ও ফেরি সংকটের কারনে যানবাহনের লম্বা সাড়ি তৈরি হয়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে। দীর্ঘ্য দিনের এই জানজটের কারনকে ফেরি ও নাব্য সংকটকেই দুশছেন যাত্রি ও চালকেরা।
সরজমিনে বুধবার বিকেলে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে দেখা যায়, ঢাকা খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারিচ পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় তৈরি হয়েছে যানবাহনের লম্বা সাড়ি। এতে অন্তত ৪ শত যানবাহন পারের অপেক্ষায় আটকে আছে। যার মধ্যে পন্যবাহি ট্রাকের সংখ্যাই বেশি।
এছাড়াও দৌলতদিয়া ঘাট থেকে বারো কিলোমিটার পিছনে গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় আরো অন্তত ১ শত পন্যবাহি ট্রাক পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
এ সময় কুষ্টিয়া থেকে আসা ট্রাক চালক নজরুল ইসলাম আকন্দ জানান, এখন ঘাটের নাগাল পেতে তাদের তিন থেকে চার দিন আটকে থাকতে হচ্ছে ঘাটে। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড়ে দুই দিন দিন এরপর দৌলতদিয়া ঘাটে আরো দুই তার পরে দেখা মিলছে কাঙ্খিত সেই ফেরি। এতে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
অপর চালক আলমগীর হোসাইন বলেন, ফেরি সঙ্কট ফেরি বাড়ালেই দুর্ভোগ কমে। আসলে ফেরি বাড়ালে উপরি আয় কমে যাবে যে কারনে ইচ্ছে করে কর্তৃপক্ষ ফেরি বারায় না। তিনি রেগে গিয়ে বলেন, আমরা কি মানুষ না ? আমরা পশুর চেয়েও খারাপ আজ তিনটি দিন রাস্তায় রাস্তায় আছি। রাতে ট্রাকের মালামাল চুরি যাবার ভয়ে ঘুমাতে পারি না। ছিনতাইকারীরা মেবাইল নিয়ে যায়, তেল চুরি করে, গারির ব্যাটারি খুলে নিয়ে যায় । আমরা যাবো কোথায় কার কাছে বলবো?।
বিআডব্লিটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যাবস্থাপক জামাল হোসেন জানান এই নৌরুটে চলাচলকারী ২০ টি ফেরির মধ্যে ৫ টি বিকল হয়েছে বাকি ১৫ টি ফেরি দিয়ে চলছে পারাপার তাছাড়া নাব্য সংকটের কারনে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরিগুলোকে ধীরে চালাতে হচ্ছে যে কারনে ঘাটে কিছুটা যানজট থেকে যাচ্ছে। তবে যাত্রি ভোগান্তি কমাতে যাত্রিবাহি বাস ও ব্যাক্তিগত ছোট যানবাহনকে অগ্রাধীকার ভিত্তিতে পার করানো হচ্ছে।