Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

করোনা নিয়ে আবারও সতর্কবার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী জাতীয়

করোনা নিয়ে আবারও সতর্কবার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আয়েশি ভাব ছেড়ে দেশবাসীকে আবারও সর্তক হওয়ার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডারে কম্বল গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, দেখা যাচ্ছে শীতকাল আসলেই পৃথিবীর সব দেশে আবার করোনাভাইরাস দেখা দিচ্ছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড বা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যে এর প্রাদুর্ভাব কিছুটা দেখা যাচ্ছে, বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অসর্তক হলে দেশে আবারও করোনা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন করোনা সংক্রমণ কমে আসায় সবার মধ্যে একটু আয়েশি ভাব এসে গেছে। এখন সময় এসেছে আবার সর্তকতা অবলম্বন করার। আর সর্তকতা অবলম্বন করতে পারলে ইনশাল্লাহ এই প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশকে আক্রান্ত করতে পারবে না। শীতকাল আসলে একটু ঠান্ডা লাগলে সর্দি-কাশি হয়। সেদিকে সবাইকে একটু সর্তক থাকতে হবে।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের মানুষকে এই ব্যাপারে সর্তক থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। যেন আবার এই করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা না দেয়। সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে।

সবাইকে মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাস্কটা অবশ্যই পরে থাকতে হবে। মাস্ক পরে থাকলে কেউ যদি সংক্রমিত হয়ে কথা বলতে আসে আপনি নিজে সংক্রমিত হবেন না। টিকা নেওয়া ব্যক্তিরাও অন্যকে সংক্রমিত করতে পারেন। ভ্যাকসিন যারা নিয়েছেন যদি তাদের কারো করোনা হয় তার মাধ্যমেও করোনা ছড়াতে পারে। এ বিষয়ে দেশবাসীকে এখন থেকে আরও সর্তক হওয়া উচিত। আরও প্রচার দরকার, মানুষকে সতর্ক করা দরকার।

শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সবাইকে আমলকি, আমড়া, লেবু, কমলা, জাম্বুরা, টমেটোসহ ভিটামিন 'সি' যুক্ত শাকসবজি বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে সবাইকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতির কথা জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ইতোমধ্যে টিকাদান কর্মসূচি যেটা চলছে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে আমরা দেশের সব মানুষকে টিকা দিতে সক্ষম হবো। বাংলাদেশের কোনো মানুষ যেন বাদ না যায়, টিকা গ্রহণ করার মতো যোগ্য প্রত্যেকটা মানুষ যাতে টিকা পায় সে ব্যবস্থা আমরা করেছি। পাশাপাশি ছাত্রসমাজকে আমরা টিকা দিচ্ছি এবং স্কুলে ছাত্রছাত্রীদেরও আমরা টিকা দেব। সে প্রস্তুতি আমরা ইতোমধ্যে নিয়েছি। দুই একদিনের মধ্যেই আমরা কাজ শুরু করব।

সরকার করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সব কিছুতেই একটা স্থবিরতা বিশ্বব্যাপী সৃষ্টি হয়েছিল। তবে বাংলাদেশে আমরা সব সময় চেষ্টা করেছি যেন কোনো কিছু স্থবির না হয়, অন্তত সচল থাকে। সেদিক থেকে আমরা মনে করি বাংলাদেশ যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছে।

অনুষ্ঠানে ৩৭টি ব্যাংক প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভান্ডারে মোট ২৬ লাখ ৪৫ হাজার পিস কম্বল এবং ১০ লাখ টাকা অনুদান হিসেবে প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস এসব অনুদান গ্রহণ করেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারসহ বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যাংক মালিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের যে কোনো দুঃসময়ে দেশের ব্যাংক এসোসিয়েশন সব সময় এগিয়ে আসে। প্রত্যেক ব্যাংকের পক্ষ থেকে সবসময় সহযোগিতা করে থাকে। সে জন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।