Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

সৈয়দপুরে ১ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে রেলওয়ে হাসপাতাল নীলফামারী

সৈয়দপুরে ১ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে রেলওয়ে হাসপাতাল

হাসপাতালের অবকাঠামো, বেড, অপারেশন থিয়েটার সবই আছে নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল। ফলে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে লাল ইটের গাঁথুনির নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালটি। মাত্র ১ জন চিকিৎসক আউডডোর ও ইনডোরসহ সকল চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে রেলের বর্তমান ও অবসরে যাওয়া কর্মচারীরা ও পোষ্যরা হাসপাতালমুখি হচ্ছে না।

১৮৭০ সালে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সে সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের এই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। একসময় হাসপাতালে রোগীদের ভিড় লেগেই থাকতো এবং চিকিৎসা সেবাও ছিলো খুব ভালো মানের। কিন্ত এখন আর সেই জৌলুস নেই।

হাসপাতালটিতে রয়েছে ৮২টি বেড। রয়েছে অপারেশন থিয়েটার। যদিও সেটি আধুনিক মানের নয়। এক্সরে রুম বর্তমানে তালাবদ্ধ। কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা নেই হাসপাতালটিতে। একজন মাত্র চিকিৎসক ছাড়া আর কোন চিকিৎসক নেই, তাই রোগীও আসেনা। অন্যান্য সুযোগ সুবিধা না থাকায় রোগিরা বাহিরে চিকিৎসা নিচ্ছে।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় যে কোনো শ্রমিক-কর্মচারী দুর্ঘটনার শিকার হলে প্রথমে এই হাসপাতালে আনা হয়। কিন্ত সে ধরণের চিকিৎসা সুবিধা না থাকায় পরিবারের লোকজন অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই হাসপাতালটি মেডিকেল কলেজ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন সাবেক রেলমন্ত্রী। সে কাজও এগোয়নি। দু'একটি সভা ছাড়া সে কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। হাসপাতালে রোগীরা আসেনা, তাই সব সময় ভুতুরে পরিবেশ বিরাজ করছে হাসপাতালটিতে।  

কথা হয় বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা (ডিএমও) আনিসুল হকের সাথে। তিনি জানান, হাসপাতালে মঞ্জুরী পদের সংখ্যা ১২৪ জন। সেখানে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৬৫ জন। সার্জারী, গাইনী ও প্রয়োজনীয় বিভাগে ৭ জন ডাক্তারের স্থলে কর্মরত মাত্র ১ জন চিকিৎসক। 

তিনি আরো বলেন, এতবড় হাসপাতাল অথচ এই হাসপাতালে কোনো অ্যাম্বুলেন্স নেই। ফলে জটিল রোগীদের রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠাতে সমস্যা হয়। আউডডোরে গড়ে প্রতিদিন ১০/১২ জন রোগী চিকিৎসার জন্য আসেন।

তিনি বলেন, হাসপাতালটিতে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। সরকার একটু নেক নজর দিলে এবং চিকিৎসক সংকট দূর করা হলে পূর্বের জৌলুস ফিরে আসবে।