Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

পদ্মার পানি এখনও বিপদসীমার ৭২ সেন্টিমিটার উপরে

রাজবাড়ীতে বন্যায় ফসলের ব্যপক ক্ষতি রাজবাড়ী

রাজবাড়ীতে বন্যায় ফসলের ব্যপক ক্ষতি

এ বছরের বন্যায় রাজবাড়ীতে ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। এদিকে টানা এক সপ্তাহ পানি বৃদ্ধির পর কমতে শুরু করেছে পদ্মা নদীর পানি। গত ২৪ ঘন্টায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার পানি কমেছে। আর ৫ সেন্টিমিটার পানি কমে এখন বিপদসীমার ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের তথ্যমতে এ বছরের বন্যায় ৪৫ হেক্টর জমির ফসলের পুরোপুরি ও ৩২৬ হেক্টর জমির ফসলের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে  পুরোপুরি ক্ষতি বা নিমজ্জিত হয়েছে রাজবাড়ী সদর উপজেলার সাড়ে ১২ হেক্টর জমির সবজি পাংশা উপজেলার আড়াই হেক্টর জমির সবজি ও গোয়ালন্দ উপজেলার ৩০ হেক্টর জমির সবজি। 

আর আংশিক ক্ষতি বা নিমজ্জিত হয়েছে, রাজবাড়ী সদর উপজেলার বোনা আমন ১০ হেক্টর,রোপা আমন ২০ হেক্টর,  শাক সবজি ১৫ হেক্টর, পাংশা উপজেলার বোনাআমন ১০ হেক্টর, রোপা আমন, ১ হেক্টর, শাক সবজি সাড়ে ৩ হেক্টর, আখ ৫৫ হেক্টর, অন্যান্য ১ হেক্টর, গোয়ালন্দ উপজেলার বোনা আমন ১০ হেক্টর, রোপা আমন ৮০ হেক্টর, সবজি ৩০ হেক্টর, সব মিলিয়ে ৩২৬ হেক্টর জমির ফসল আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া পয়েন্টের পানি পরিমাপক সালমা খাতুন জানান, পদ্মার পানি ২৪ ঘন্টায় দৌলতদিয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার কমে পানি এখন বিপদ সীমার ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সরেজমিনে সোমবার দুপুরে গোয়ালন্দ উপজেলার উজান চর ইউনিয়নের জানুক রায়ের পারা এলাকায় গিয়ে দেখাযায়, সেখানে মাঠের পর মাঠ ফসলী জমি পানিতে তলিয়ে আছে। অনেকে বোনা আমন ধান ক্ষেত আবার পানিতে তলিয়ে আছে।

এ সময় কৃষক ফকের মোল্লা অভিযোগ করেন, এমনিতেই বন্যা, তার উপর করোনা সব মিলিয়ে খুব কষে আছি। তবে প্রায় এক মাস পানি বন্দি থাকলেও কেউ আসেনি খোজ নিতে। দেয়নি কোন ত্রান সহায়তা। 

এদিকে জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলার নদী তীরবর্তী ১৩ টি ইউনিয়নের ৬৭ টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পরেছে ১০ হাজার পরিবারের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। 

তবে জেলা ত্রান ও পুর্নবাসন কর্মকতা মোঃ আরিফুল হক জানান, এরই মধ্যে জেলায় পানিবন্দি মানুষের মাঝে ১০ মেট্টিক টন চাল ও দুই লক্ষ টাকা নগদ প্রদান করা হয়েছে।

আর জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক এস এম সহিদ নুর আকবর বলেন, এ বছরের বন্যায় কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি সাধারন হয়েছে। তালিকা করে জেলার ৬ হাজার ৭ শত ৫০ জন কৃষকের নাম মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। এদের কৃষি ভুর্তকি ও প্রনোদনায় আওতায় আনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।