কালকিনিতে সালিশ-মিমাংসা উপেক্ষা করে সংখ্যালঘুর জমি দখলের চেষ্টা! মাদারীপুর / 
মাদারীপুরের কালকিনিতে সালিশ-মিমাংসা উপেক্ষা করে জোরপুর্বক সংখ্যালঘুর জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি দখলের চেষ্টার ঘটনা বাঁধা দিলে ওই সংখ্যালঘু পরিবারকে ভারত পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি প্রদর্শন করে আসছে প্রতিপক্ষ। এনিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগী ও সরেজমিন সুত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে প্রতিপক্ষ ঘটনা অস্বীকার করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, পৌর এলাকার দক্ষিন রাজদী গ্রামের হিন্দু শ্যামল মিত্যু, দেবাশিষ মিত্যু, নেপাল, আকাশ ও সমীরের বাড়ির পাশের ভিটার কিছু জমি বেদখলের পায়তারা চালিয়ে আসছে একই এলাকার এসকান্দার হাওলাদার ও সবুজ হাওলাদার। এনিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এবিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষকে ডেকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তৌফিকুজ্জামান শাহিন ও পৌরসভার মেয়র এস এম হানিফ সরদারের উপস্থিতিতে এলাকার মান্যগন্য ব্যক্তিরা শালিশ-মিমাংসার মাধ্যমে উভয় পক্ষকেই আপোষ করে জমি বুঝিয়ে দেন এবং এই জমি আর দখল না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু এই সালিশ-মিমাংসাকে উপেক্ষা করে সংখ্যালঘুদের জমি পুনরায় দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন এসকান্দার ও সবুজ। পরে কালকিনি থানা পুলিশকে জমি দখলের চেষ্টার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন সংখ্যলঘু পরিবার। থানা পুলিশ শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সংখ্যালঘু দেবাশিষ ও নেপাল অভিযোগ করে বলেন, কোন প্রকার কাগপত্র ছাড়াই আমাদের ভিটার জমি দখলের চেষ্টা করে আসছে এসকান্দার ও সবুজ। আমরা তাদের বাঁধা দিলে আমাদের ভারত চলে যাওয়ার জন্য হুমিক প্রদর্শন করে আসছে তারা।
অভিযুক্ত এসকান্দারের ছেলে মিলন হাওলাদার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, হিন্দুদের সাথে আমাদের কোন জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব নেই। তাদের পাশের এনামুল মাষ্টারের জমি মেপে বুঝ দেয়া হয়েছে। আমাদের মেয়র আবার মিমাংসা করে দেবেন। সমাজ সেবক ও আ.লীগ নেতা ভজন দত্ত বলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়র মিলে মিমাংসা করে দেয়ার পরও এসকান্দার ও সবুজ জমি দখলে মড়িয়া হয়ে আছে।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইসতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।