Opu Hasnat

আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৪,

মুন্সীগঞ্জে আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা মুন্সিগঞ্জ

মুন্সীগঞ্জে আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা

মুন্সীগঞ্জে চর কেওয়ারে মাদক ব্যাবসা নিয়ে একজনকে কুপিয়ে আহত করার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোক্তার হোসেন গাজীসহ কয়েকজনকে মামলার আসামী করায় বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।

সোমবার (২ আগস্ট) দুপুর ১ টার দিকে সদর উপজেলার চর কেওয়ার ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামে আওয়ামী লীগের নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানান, গত ২৭ জুন রাত সাড়ে ৯ টার দিকে হোগলাকান্দি গ্রামে মাদক ব্যাবসায়ী নিজামের মাদক (বিয়ার) তার সহযোগী মো: নাহিদের বাড়িতে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পুলিশ গোপন সংবাদের ভিক্তিতে অভিযান চালিয়ে ৭ পিচ মাদক (বিয়ার) উদ্ধার করেন।

পরে পুলিশ চলে আসলে রাত ১০ টার দিকে গ্রামের কালাদের বাড়ির সামনে মো: নিজাম, মো: সুজন, মো:সানি ও মো: হালিমসহ ৭-৮ জন মো: জুয়েল মাঝিকে এলোপাথারী কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এই ঘটনায় যারা মো: জুয়েল মাঝিকে কুপিয়ে আহত করেছেন তাদের বাহিরে চর-কেওয়ার আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোক্তার হোসেন গাজী তার ছেলে চর-কেওয়ার ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তফা গাজীসহ কয়েকজনকে আসামী করা হয়।

এই ঘটনায় মুঠো ফোনে চর-কেওয়ার আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মোক্তার হোসেন গাজি জানান, ঘটনার দিন রাত ১০ টা ৩০ হতে ১১ টার সময় মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আমাকে কল করে বলেন আপনার গ্রামে মারামারি লাগছে আপনি কি কিছু জানেন।

আমিতো কিছু জানি না তার পরও আমি গ্রামে ফোন করে দেখছি। গ্রাম এ কল করার পর সুনলাম নিজাম এর বিয়ার জুয়েল মাঝি পুলিশ দিয়ে দরিয়ে দেয় এই কথা বলেন ৫নং ওয়ার্ড এর মেম্বার নুরু মুন্সী।

তারপর ওসি স্যার কে কল করে বলি বিয়ার নিয়ে একই গ্রুপের দুই জনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। ওসি সাহেব বলেন ঠিক আছে।

তার একটু পর এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফরিদ কল করেন বললেন একই ঘটনা আমি বললাম একটু আগে ওসি সাহেব আমাকে ফোন করেছিল আমি তার কাছ থেকে শুনলাম মারামারির কথা। আমতলা যাওয়ার রস্তাটি কি কিভাবে যায় আমি তাকে বলে দেই।

তবে এই অবস্থায় আমার আর আমার ছেলের নাম কি ভাবে গায়েবী মামলা হয় আমি কিছু জানি না।

আমি মুন্সীরহাট বাসায় কয়টার দিকে গিয়েছি আর বাসা থেকে বের হয়েছি তার সিসিক্যামেরা দেখলেই আর আমার মোবাইলের কল রেকর্ড দেখলে বুঝতে পারবে আমি আর আমার ছেলে  কই ছিলাম। এত কিছুর পরও আমাদের বিরুদ্ধে কিভাবে এই মিথ্যা মামলা হয় তার প্রতিবাদ জানাই ও যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানাই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফরিদ (২ আগষ্ট) রাতে জানান, জুয়েল মাঝি এর আগে কয়েক বার ডিবি পুলিশ দিয়ে ওই এলাকার মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদক সেবন কারিদের ধরিয়ে দেয়।

গত ২৭ জুন রাত সাড়ে ৯ টার দিকে হোগলাকান্দি গ্রামে মাদক ব্যাবসায়ী নিজামের মাদক (বিয়ার) তার সহযোগী মো: নাহিদের বাড়িতে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পুলিশ গোপন সংবাদের ভিক্তিতে অভিযান চালিয়ে ৭ পিচ মাদক (বিয়ার) উদ্ধার করেন। পুলিশ চলে আসার পরপরই নিজামসহ কয়েকজন মিলে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এই ঘটনায় পতক্ষভাবে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

তবে মোক্তার হোসেন গাজী ও তার ছেলেসহ কয়েকজনকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় করার জন্য তাদের এই মামলায় আসামী করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।