Opu Hasnat

আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ২০২৪,

খাগড়াছড়িতে করোনা শিথিলতা থাকলেও ঈদে বন্ধ ছিল পর্যটন কেন্দ্র খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়িতে করোনা শিথিলতা থাকলেও ঈদে বন্ধ ছিল পর্যটন কেন্দ্র

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে করোনায় শিথিলতা থাকলেও ঈদে বন্ধ ছিল পর্যটন কেন্দ্র, আনন্দ বঞ্চিত হলো স্থানীয়রা। ঈদ উপলক্ষে স্বজনদের নিয়ে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান বা প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরতে পছন্দ করেন সবাই। সংক্ষিপ্ত পরিসরে শিথিলের মধ্যে কিন্তু করোনা সংক্রমণরোধে বিধিনিষেধ থাকায় এবার সেই সুযোগ নেই। একই অবস্থা দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা খাগড়াছড়ির। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে সকল পর্যটন কেন্দ্র, হোটেল-মোটেল ও কটেজ বন্ধ রয়েছে। ফলে ঈদে ঘোরাঘুরি থেকে বঞ্চিত স্থানীয়রা।

খাগড়াছড়ি শহরের নয়নপুর এলাকার ব্যবসায়ী মো: বেলাল হোসেন, মনপুরা আবাসিক এলাকার মো: সাহাব উদ্দিন ও এপি ব্যাটালিয়ন মুসলিমপাড়া এলাকার হাফসা বেগম বলেন, ‘বাইরের লোকজনের জন্য বন্ধ থাকলেও স্থানীয়দের জন্য খুলে দিলে ভালো হতো। অন্যান্য বছরের মতো পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটুও ঘোরাফেরা করতে পারলাম না।’

খাগড়াছড়ির আলুটিলা প্রকৃতি গুহা, রিছাং ঝর্না, হেরিটেজ পার্ক, পার্বত্য জেলা পরিষদ পার্ক, দেবতার পুকুরসহ খাগড়াছড়ি ও সাজেকে প্রায় ৫০টি পর্যটন স্পট ও দুই শতাধিক হোটেল-মোটেল থাকলেও ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত তারা।

পার্বত্য জেলা পরিষদ পার্কের তত্ত্বাবধায়ক মো: সাইফুল ইসলাম হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, বছরে ঈদ মৌসুমে তারা ব্যবসা করেন। কিন্তু গত দেড় বছর করোনার কারণে ব্যবসা হচ্ছে না। প্রায় ৫০জন কর্মচারীর বেতন পার্বত্য জেলা পরিষদ দিলেও পর্যটন সংশ্লিষ্ট এই খাত হতে কোনও আয় হয়নি।

তিনি আরও বলেন, সরকার গত ১৫ই জুলাই থেকে অধ্যবধি পর্যন্ত কঠোর লকডাউন শিথিল করলেও, খাগড়াছড়ির সকল পর্যটন কেন্দ্র, হোটেল-মোটেল-গেস্টরুম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল জেলা প্রশাসন। ফলে বাধ্য হয়ে সেই আদেশ পালন করেছি।

খাগড়াছড়ি মিলনপুর হোটেল গাইরিংয়ের মালিক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা ও অরণ্য বিলাশের মালিক স্বপন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, করোনা মহামারির প্রথম থেকে হোটেল-মোটেল বন্ধ থাকায় তাদের লোকসান হচ্ছে। ঈদে ছাড় দিলে ব্যবসা হতো। তবে সবার ওপরে মানুষের জীবন বিবেচনায় তারা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। সুদিন আসলে ব্যবসা হবে বলে মনে করেন তারা।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালের রেকর্ডে এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু ১৫জন হলেও, বাস্তবে পরিসংখ্যান ভয়াবহ। চলতি মাসে মোট দুই হাজার ৬৪০টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ৭৪৩জন। শনাক্তের হার ২৮.১৫শতাংশ। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ঈদ উপলক্ষে পর্যটন খোলা থাকলে শনাক্তের সংখ্যা আরও বাড়তো।

তিনি আরও বলেন, খাগড়াছড়ি জেলাবাসীকে চলমান মহামারির হাত থেকে বাঁচাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা স্থানীয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে মেনে চলায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।